আসুন আমাদের শরীরের হাত পা অবশ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার জেনে নেওয়া যাক

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি ভালো আছেন যদি ভালো না থাকেন এবং আপনার হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়ার সমস্যায় চিন্তিত হয়ে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে এবং যাদের হাত পা অবশ হওয়ার সমস্যা নেই তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি অনেক উপকারে আসবে চলুন তবে দেরি না করে বিস্তারিত তথ্য পরিষ্কার হবে জেনে নেওয়া যাক

প্রতিকার এছাড়াও হাত পা অবশ হলে করণীয় কি এ সম্পর্কে যদি আপনার বিস্তারিত তথ্য জানা থাকে তাহলে আপনি সহজে কয়েক রকম পদ্ধতি অবলম্বন করবে এই সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পেতে পারবেন চলুন তবে বিস্তারিত দেরি না করে ঝটপট জেনে নেওয়া যাক

হাত পা অবশ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

আপনি হয়তো হাত পা অবশ হয়ে গেলে নানান চিন্তায় নানান ধরনের কথা ভেবে থাকেন তবে সমস্যা নাই আজকে নিচের সম্পূর্ণ আলোচনা পড়ে আপনি সঠিক তথ্যটি জানতে পারবেন এবং হাত-পা অবশ্যই যাওয়ার প্রতিকারও জানতে পারবেন হাত পা অবশ হওয়ার সাধারণ কারণ
  • অস্বস্তিকর অবস্থান: দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থায় থাকা, যেমন ঘুমের সময় হাত বা পা ভাঁজ করে রাখা, রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে অবশতা অনুভূত হতে পারে।
  • তীব্র ব্যায়াম: অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে পেশীতে অ্যাসিড জমা হয়ে অবশতা অনুভূত হতে পারে।
  • অপুষ্টি: ভিটামিন B12, ম্যাগনেসিয়াম, বা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হাত-পা অবশ হওয়ার কারণ হতে পারে।
  • গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে রক্তচাপ কমে যেতে পারে এবং হাত-পা অবশ হতে পারে।
  • পানিশূন্যতা: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করলে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হতে পারে এবং হাত-পা অবশ হতে পারে।
  • মানসিক চাপ: অতিরিক্ত চাপ ও উদ্বেগের কারণে পেশীতে টান পড়ে অবশতা অনুভূত হতে পারে।
হাত পা অবশ হওয়ার গুরুতর কারণ
  • ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিসের কারণে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং হাত-পা অবশ হতে পারে।
  • স্ট্রোক: স্ট্রোকের ফলে মস্তিষ্কের রক্তনালীতে বাধা সৃষ্টি হয়ে শরীরের এক অংশে পেশী দুর্বলতা বা অবশতা দেখা দিতে পারে।
  • মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস: মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস স্নায়ুতন্ত্রের একটি রোগ যার ফলে হাত-পা অবশ হতে পারে।
  • কার্প্যাল টানেল সিনড্রোম: কার্প্যাল টানেল সিনড্রোম হাতের কব্জিতে স্নায়ু চাপের কারণে হাত অবশ হতে পারে।
  • পেরিফেরাল আর্টারি রোগ: পেরিফেরাল আর্টারি রোগের কারণে হাত-পায়ে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হতে পারে এবং অবশতা অনুভূত হতে পারে।
হাত-পা অবশ হওয়ার প্রতিকার প্রাথমিক চিকিৎসা
  • অবশ অংশটি সোজা করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন।
  • অবশ অংশে হালকা ম্যাসাজ করুন।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন।
উপরে উল্লেখিত প্রাথমিক চিকিৎসার পরও যদি অবশতা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।ডাক্তার রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন এবং উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করবেন।চিকিৎসার ধরন নির্ভর করবে অবশতার মূল কারণের উপর স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন।নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

প্রিয় পাঠক নিচে আরো হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়ার বিভিন্ন বিষয় বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হয়েছে যেগুলো জানতে হলে নিচের আলোচনা গুলো মন দিয়ে পড়ে শেষ করুন তাহলে আপনি বিস্তারিত সব তথ্য জেনে নিতে পারবেন

হাত পা অবশ হওয়ার ওষুধ

প্রিয় পাঠক আমি কোনও চিকিৎসা পেশাদার নই এবং ওষুধের পরামর্শ দিতে পারি না।হাত-পা অবশ হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে এবং কারণ নির্ভর করে ওষুধের ধরন ভিন্ন হবে।অবশ্যই একজন যোগ্যতাসম্পন্ন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে আপনার জন্য উপযুক্ত ওষুধ নির্ধারণ করুন।তবে, কিছু সাধারণ ওষুধ যা হাত-পা অবশতার লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে
  • ভিটামিন
  • ভিটামিন B12: B12 ঘাটতি হাত-পা অবশতার একটি সাধারণ কারণ। B12 সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাংস, মাছ, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া যেতে পারে।
  • ম্যাগনেসিয়াম: ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতিও হাত-পা অবশতার কারণ হতে পারে। কলা, বাদাম, শাকসবজি, এবং পাতাযুক্ত সবজি ম্যাগনেসিয়ামের ভালো উৎস।
  • ব্যথার ওষুধ
  • অ্যাসিটামিনোফেন (Tylenol): এটি হালকা ব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • আইবুপ্রোফেন (Advil, Motrin): এটি ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • স্নায়ু টানেলের জন্য ওষুধ
  • গ্যাবাপেন্টিন (Gabapentin): এটি স্নায়ু টানেলের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • প্রেগাবালিন (Lyrica): এটি স্নায়ু টানেলের ব্যথা এবং অবশতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ডায়াবেটিসের ওষুধ
  • রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ডায়াবেটিসের ওষুধ ব্যবহার করা হাত-পা অবশতার লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
মনে রাখবেন এই ওষুধগুলির সকলেরই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে।ওষুধ সেবনের পূর্বে ঔষধের লেবেল ভালো করে পড়ুন এবং ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়েদের কোনও ওষুধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
  • ম্যাসাজ: হাত-পা নিয়মিত ম্যাসাজ করলে রক্ত প্রবাহ উন্নত হতে পারে এবং অবশতা কমাতে পারে।
  • ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম রক্ত প্রবাহ উন্নত করতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
  • পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম পেশীগুলিকে পুনরুদ্ধার করতে এবং অবশতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

হাত পা দুর্বল লাগে কেন

প্রিয় পাঠক আমাদের শরীরে বিভিন্ন সময় ভিটামিন ক্যালসিয়ামের অভাব ঘাটতি হয় যার ফলে আমাদের হাত পা দূর অনেক দুর্বল হয়ে যায় আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ভিটামিন বিভিন্ন খনিজ উপাদান অভাব দেখা দিলে আমাদের হাত পা গুলো দুর্বল অনুভব হয় হাত-পা দুর্বল লাগার কারণ সাধারণ কারণ অপুষ্টি
  • ভিটামিন D, B12, ম্যাগনেসিয়াম, বা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হাত-পা দুর্বলতার কারণ হতে পারে।
  • লোহার ঘাটতির কারণেও দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
  • পানিশূন্যতা
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করলে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হতে পারে এবং হাত-পা দুর্বল লাগতে পারে।
  • অতিরিক্ত ব্যায়াম
  • অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে পেশীতে অ্যাসিড জমা হয়ে দুর্বলতা অনুভূত হতে পারে।
  • মানসিক চাপ
  • অতিরিক্ত চাপ ও উদ্বেগের কারণে পেশীতে টান পড়ে দুর্বলতা অনুভূত হতে পারে।
  • গর্ভাবস্থা
  • গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে রক্তচাপ কমে যেতে পারে এবং হাত-পা দুর্বল লাগতে পারে
হাত পা অবশ হওয়ার গুরুতর কারণ
  • ডায়াবেটিস
  • ডায়াবেটিসের কারণে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং হাত-পা দুর্বল হতে পারে।
  • স্ট্রোক
  • স্ট্রোকের ফলে মস্তিষ্কের রক্তনালীতে বাধা সৃষ্টি হয়ে শরীরের এক অংশে পেশী দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
  • মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস
  • মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস স্নায়ুতন্ত্রের একটি রোগ যার ফলে হাত-পা দুর্বল হতে পারে।
  • কার্প্যাল টানেল সিনড্রোম
  • কার্প্যাল টানেল সিনড্রোম হাতের কব্জিতে স্নায়ু চাপের কারণে হাত দুর্বল হতে পারে।
  • পেরিফেরাল আর্টারি রোগ
  • পেরিফেরাল আর্টারি রোগের কারণে হাত-পায়ে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হতে পারে এবং দুর্বলতা অনুভূত হতে পারে।
প্রিয় পাঠক হাত পা অবশ হলে প্রতিরোধ হওয়ার কিছু উপায় নিচে সংক্ষিপ্ত আকারে দেয়া হলো
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান
  • যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন
  • প্রতিদিন 8-10 গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন

পা ঝিন ঝিন করে কেন

প্রিয় পাঠক আমাদের অনেকেরই নারান সময়ে এক জায়গায় অনেকক্ষণ ধরে বসে থাকলে যখন হঠাৎ করে উঠতে উঠে যায় তখনই পা ঝিন ঝিন বা হাতের আঙ্গুলগুলো ঝিমঝিম করে তবে সমস্যা নাই আজকে এখন পা ঝিন ঝিন করে কেন এবং এর প্রতিকার কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব আপনার পায় ঝিন ঝিন করার অনেকগুলি কারণ থাকতে পারে।কিছু সাধারণ কারণ
  • অস্বস্তিকর অবস্থা: দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থায় বসে থাকলে বা পা চেপে বসলে রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি হতে পারে এবং ঝিন ঝিন অনুভূতি হতে পারে।
  • পুষ্টির ঘাটতি: ভিটামিন B12, ম্যাগনেসিয়াম, বা ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতি ঝিন ঝিন অনুভূতির কারণ হতে পারে।
  • মধুমেহ: উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা স্নায়ু ক্ষতির কারণ হতে পারে এবং ঝিন ঝিন অনুভূতি হতে পারে।
  • রক্তনালীর রোগ: হৃদরোগ, স্ট্রোক, বা পেরিফেরাল আর্টারি রোগের মতো রক্তনালীর রোগ ঝিন ঝিন অনুভূতির কারণ হতে পারে।
  • ক্যান্সার: কিছু ধরণের ক্যান্সার স্নায়ু ক্ষতির কারণ হতে পারে এবং ঝিন ঝিন অনুভূতি হতে পারে।
  • অটোইমিউন রোগ
  • মেরুদণ্ডের সমস্যা
আপনার যদি ঝিন ঝিন অনুভূতি হয় দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থায় বসে থাকা এড়িয়ে চলুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
  • ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন এড়িয়ে চলুন।
আপনার যদি অন্য কোনও উপসর্গ থাকে, যেমন ব্যথা, দুর্বলতা, বা অসাড়তা, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

হাত পা অবশ হলে করনীয় কি

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি উপরের আলোচনাগুলো মন দিয়ে পড়ে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন যে হাত পা অবশ হলে করণীয় কি, তারপর আপনার সুবিধার্থে নিচে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো সাধারণ কারণ
  • অস্বস্তিকর অবস্থা: দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থায় বসে থাকলে বা হাত-পা চেপে বসলে রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি হতে পারে এবং অবশ অনুভূতি হতে পারে।
  • পুষ্টির ঘাটতি: ভিটামিন B12, ম্যাগনেসিয়াম, বা ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতি অবশ অনুভূতির কারণ হতে পারে।
  • গর্ভাবস্থা: হরমোনের পরিবর্তনের কারণে গর্ভবতী মহিলাদের অবশ অনুভূতি হতে পারে।
হাত পা অবশ হলে করণীয় অবিলম্বে অবস্থান পরিবর্তন করুন এবং হাত-পা সোজা করে কিছুক্ষণ রাখুন।হালকা হাতের ম্যাসাজ করুন।পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।স্বাস্থ্যকর খাবার খান।নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

এবং এছাড়া আরো হাত পা অবশ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে নিচের আলোচনা গুলো মন দিয়ে পড়ুন, নিচে আরো বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা রয়েছে।

ঘুমের মধ্যে হাত পা অবশ হয় কেন

প্রিয় পাঠক ঘুমের মধ্যে হাত পা অবশ হয়ে যাওয়ার বিভিন্ন ধরনের কারণ দায়ী থাকে চলুন তবে আজকে কিছু কারণ আলোচনা করা যাক অতিরিক্ত চাপ: দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থানে বসে থাকা, কাজ করা, বা ভারী জিনিস বহন করার ফলে হাত-পায়ে চাপ পড়ে অবশ হতে পারে।
  • অপর্যাপ্ত ঘুম: যথেষ্ট ঘুম না হলে স্নায়ুতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না, যার ফলে হাত-পা অবশ হতে পারে।
  • পানিশূন্যতা: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে এবং এর ফলে হাত-পা অবশ হতে পারে।
  • হাত পা অবশ হওয়ার চিকিৎসাগত কারণ
  • কার্পাল টানেল সিনড্রোম: হাতের কব্জির স্নায়ুতে চাপ পড়ার ফলে হাত অবশ হতে পারে।
  • কটিস্থলের সমস্যা: মেরুদণ্ডের নিচের অংশে সমস্যা হলে পায়ে অবশতা দেখা দিতে পারে।
  • মধুমেহ: দীর্ঘমেয়াদী মধুমেহ স্নায়ু ক্ষতির কারণ হতে পারে এবং হাত-পা অবশ হতে পারে।
  • ভিটামিন বি 12-এর ঘাটতি: ভিটামিন বি 12-এর ঘাটতি স্নায়ু ক্ষতির কারণ হতে পারে এবং হাত-পা অবশ হতে পারে।
  • মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস: মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের স্নায়ুতে ক্ষতির ফলে হাত-পা অবশ হতে পারে।
  • স্ট্রোক: মস্তিষ্কের রক্তনালীতে বাধা সৃষ্টির ফলে হাত-পা অবশ হতে পারে।
যদি আপনার ঘুমের মধ্যে হাত-পা অবশ হওয়ার সমস্যা নিয়মিত হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।ডাক্তার আপনার অবস্থার কারণ নির্ণয় করতে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করতে সাহায্য করবেন।কিছু টিপস যা ঘুমের মধ্যে হাত-পা অবশ হওয়া রোধে সাহায্য করতে পারে
  • আরামদায়ক শোয়ার অবস্থান: এমনভাবে শুয়ে থাকুন যাতে আপনার শরীরের কোন অংশে চাপ না পড়ে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে এবং স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
  • পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন: প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পান

শেষ কথা

হাত পা অবশ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার বিভিন্ন ধরনের কারণ দায়ী থাকে এবং এর কিছু প্রতিকার আর্টিকেলটিতে
আলোচনা করা হয়েছে, আশা করছি আপনি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হতে পারবেন,যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে আর্টিকেলটিকে শেয়ার দিয়ে অন্যকে সঠিক তথ্য জানার সুযোগ করে দিন এবং আমাদের পরবর্তী আর্টিকেল পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে আজকে এখানেই শেষ করছি, এবং আপনার কোন প্রশ্ন অথবা মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪