আসুন জেনে নেওয়া যাক মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

প্রিয় পাঠক মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে হয়তো নানান জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন তারপরও সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না তো সমস্যা নাই আজকে আমরা আর্টিকেল মাধ্যমে আপনার সমস্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিব চলুন তবে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক 

মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার এছাড়াও কোমর ব্যথার ওষুধের নাম এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে নিচের আলোচনা গুলো মন দিয়ে পড়ুন।

মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার

প্রিয় পাঠক মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে হলে নিচের আলোচনাগুলো আমাদের সাথে থেকে মন দিয়ে পড়ুন আজকাল মহিলাদের কোমর ব্যথা বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময় দেখা যায় মহিলাদের কোমর ব্যথা একটি জটিল সমস্যা চলুন তবে আজকে ঝটপট জেনে নেওয়া যাক মহিলাদের কোমর ব্যথা কারণ এবং তার প্রতিকার মহিলাদের নানান ধরনের কাজ করতে হয় যেমন ঝুঁক বেশি কাজ করা ভারী জিনিসপত্র বহন করা মহিলাদের কোমর ব্যথা সাধারণ কারণ
  • অঙ্গভঙ্গির সমস্যা: দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, ভারী জিনিস বহন করা, ঠিকভাবে না বসা, উঁচু টুপি পরা ইত্যাদি।
  • মাংসপেশির টান: ব্যায়াম, খেলাধুলা, অথবা ভুল ভঙ্গিতে কাজ করার ফলে।
  • মেরুদণ্ডের সমস্যা: স্পাইনাল ডিস্কের সমস্যা, অস্টিওপোরোসিস, স্পনডাইলাইটিস ইত্যাদি।
  • মাসিক ঋতুচক্র: হরমোনের পরিবর্তনের কারণে।
  • গর্ভাবস্থা: বাচ্চার ওজনের চাপের কারণে।
  • অতিরিক্ত ওজন: অতিরিক্ত ওজন মেরুদণ্ডের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
  • মানসিক চাপ: মানসিক চাপ পেশীতে টান সৃষ্টি করে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে কিছু অতিরিক্ত কারণ
  • জন্মগত কারণ: কিছু মহিলা জন্মগতভাবেই কোমরের সমস্যায় ভোগেন।
  • এন্ডোমেট্রিওসিস: জরায়ু কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি।
  • ফাইব্রোম্যালজিয়া: দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা ও ক্লান্তির সমস্যা।
  • প্রসব ও গর্ভপাতের জটিলতা: প্রসব বা গর্ভপাতের সময় জটিলতা কোমর ব্যথার কারণ হতে পারে।
  • প্রতিকার প্রাথমিক চিকিৎসা
  • বিশ্রাম: ব্যথা কমার জন্য কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া উচিত।
  • বরফ লাগানো: ব্যথার উপর বরফ লাগানো ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • ওষুধ: ব্যথার ওষুধ (যেমন - আইবুপ্রোফেন, প্যারাসিটামল) ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • স্ট্রেচিং ও ব্যায়াম: হালকা স্ট্রেচিং ও ব্যায়াম কোমরের পেশী শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
মহিলাদের কোমর ব্যথা চিকিৎসা 
  • ফিজিওথেরাপি: ফিজিওথেরাপিস্ট পেশী শক্তিশালী করার জন্য ব্যায়াম শেখান এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করেন।
  • ইনজেকশন: স্টেরয়েড বা অন্যান্য ওষুধের ইনজেকশন ব্যথা কমাতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • অস্ত্রোপচার: কিছু গুরুতর ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
মহিলাদের কোমর ব্যথা প্রতিরোধ
  • সঠিক অঙ্গভঙ্গি: দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে প্রতি ঘন্টায় একবার হাঁটতে যান এবং সঠিক ভঙ্গিতে বসার অভ্যাস করুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম পেশী শক্তিশালী করে কোমর ব্যথা রোধে সাহায্য করে।
  • স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা: অতিরিক্ত ওজন এড়িয়ে চলুন।
  • মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ: মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন 

কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়

প্রিয় পাঠক কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় এবং কোমর ব্যথার সাথে জড়িত অন্যান্য সকল তথ্য জানার জন্য নিচের আলোচনাগুলো মন দিয়ে করুন চলুন তবে দেরি না করে আমাদের সাথে থেকে কোমর ব্যাথার কোমর ব্যথার ইত্যাদি সকল তথ্য জেনে রাখুন এগুলো জেনে থাকলে আপনি সহজেই 

আপনার কোমর ব্যথা সারানোর উপায় খুঁজে বের করে নিতে পারবেন প্রিয় মহিলাদের কোমর ব্যথা সারানোর কিছু সহজ উপায় প্রতিরোধে করণীয় বেশিক্ষণ নিচু হয়ে কাজ না করা এবং কোমর ব্যথা সময় ভারী জিনিসপত্র বহন না করা এছাড়াও ঘর ঝাড়ু দেওয়া ইত্যাদি ঝুঁকি হয়ে যেগুলো কাজ করা হয় ওগুলো কাজ করা থেকে বিরত থাকলে কোমর ব্যথা প্রতিরোধ করা সম্ভব
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন কোমরে চাপ সৃষ্টি করে ব্যথা বাড়াতে পারে।
  • শরীরের ভঙ্গি: সঠিক ভঙ্গিতে বসা, হাঁটা এবং দাঁড়ানো গুরুত্বপূর্ণ।
  • ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম পেশী শক্তিশালী করে এবং নমনীয়তা বাড়ায়।
  • উত্তোলনের সঠিক পদ্ধতি: ভারী জিনিসপত্র উত্তোলনের সময় কোমরের পরিবর্তে পা ব্যবহার করুন।
  • আরামদায়ক জুতা: উঁচু হিলের জুতা এড়িয়ে চলুন।
  • গরম এবং ঠান্ডা ব্যবহার: ব্যথার উপর 20 মিনিটের জন্য বরফের প্যাক বা 10 মিনিটের জন্য তাপ প্রয়োগ করুন।
  • ওষুধ: ব্যথানাশক ওষুধ যেমন আইবুপ্রোফেন বা প্যারাসিটামল ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ফিজিওথেরাপি: একজন ফিজিওথেরাপিস্ট আপনাকে ব্যথা কমাতে এবং পেশী শক্তিশালী করতে ব্যায়াম শেখাতে পারেন।
  • যোগব্যায়াম: কিছু যোগব্যায়াম কোমরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ম্যাসাজ: ম্যাসাজ পেশী টান এবং টান কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • মহিলাদের জন্য কিছু বিশেষ টিপস
  • মাসিক ঋতুচক্রের সময়: কিছু মহিলা তাদের ঋতুচক্রের সময় কোমর ব্যথা অনুভব করে।
  • গর্ভাবস্থায়: গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন এবং বাড়তি ওজনের কারণে কোমর ব্যথা হতে পারে।

কোমরের দুই পাশে ব্যথার কারণ

প্রিয় পাঠক কোমরে দুই পাশে ব্যথার কারণ বিভিন্ন রকমের হতে পারে কোমরের দুই পাশে ব্যথার কারণ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে জানতে হলে নিচের আলোচনাগুলো মন দিয়ে পড়ুন আশা করি আপনি কোমরের দুই পাশে ব্যথার কারণ এবং তার প্রতিকার জেনে নিতে পারবেন কোমরের দুই পাশে ব্যথার বিভিন্ন কারণ
মাংসপেশির টান
  • দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা বা ভারী জিনিস বহন করার ফলে পেশীতে টান লাগতে পারে।
  • ব্যায়ামের সময় অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা।
  • অপুষ্টি বা ডিহাইড্রেশন।
মেরুদণ্ডের সমস্যা
  • ডিস্ক প্রলাপস: মেরুদণ্ডের মধ্যে থাকা ডিস্ক স্থানচ্যুত হলে ব্যথা হতে পারে।
  • স্পাইনাল স্টেনোসিস: মেরুদণ্ডের খাল সংকুচিত হলে স্নায়ুতে চাপ পড়ে ব্যথা হতে পারে।
  • স্পন্ডিলাইটিস: মেরুদণ্ডের হাড়ে প্রদাহের ফলে ব্যথা হতে পারে।
  • সন্ধির সমস্যা
  • অস্টিওআর্থ্রাইটিস: জয়েন্টের ক্ষয়ের ফলে ব্যথা হতে পারে।
  • স্যাক্রোইলিয়াক যুক্তির সমস্যা: কোমরের হাড়ের সাথে নিতম্বের হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা হতে পারে।
  • অন্যান্য কারণ
  • কিডনি পাথর: কিডনিতে পাথরের ফলে কোমরের দুই পাশে ব্যথা হতে পারে।
  • মূত্রনালীর সংক্রমণ: মূত্রাশয়ে সংক্রমণের ফলে কোমরের পেছনের দিকে ব্যথা হতে পারে।
  • গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের ফলে কোমরে ব্যথা হতে পারে।
  • স্ট্রেস: মানসিক চাপের ফলে পেশীতে টান লেগে ব্যথা হতে পারে।
    উপসর্গ
  • কোমরের দুই পাশে তীব্র বা হালকা ব্যথা
  • ব্যথা তীব্র হতে পারে বা সময়ের সাথে সাথে কমে যেতে পারে
  • হাঁটাচলা বা দাঁড়ানোর সময় ব্যথা বৃদ্ধি পেতে পারে
  • বসে থাকার সময় ব্যথা কমতে পারে
  • পায়ে দুর্বলতা বা অবশভাব
  • জ্বর বা বমি বমি ভাব (কিছু ক্ষেত্রে)
রোগ নির্ণয়
  • ডাক্তারের সাথে পরামর্শ
  • শারীরিক পরীক্ষা
  • এক্স-রে
  • এমআরআই
  • সিটি স্ক্যান
  • চিকিৎসা
  • ব্যথার ওষুধ
  • ফিজিওথেরাপি
  • ব্যায়াম
  • ওজন কমানো (প্রয়োজনে)
  • অস্ত্রোপচার (কিছু ক্ষেত্রে)
  • প্রতিরোধ
  • নিয়মিত ব্যায়াম
  • সঠিক ভঙ্গিতে বসা ও দাঁড়ানো
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
  • পর্যাপ্ত ঘুম
মনে রাখবেন উপরে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের জন্য।কোমরের দুই পাশে ব্যথা হলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।ডাক্তার আপনার ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করতে পারবেন

গর্ভবতী মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ

প্রিয় পাঠক উপরের আলোচনাগুলো পড়ে নিশ্চয়ই জানতে পারছেন যে কোমর ব্যথা নিয়ে যত সমস্যা আছে সবগুলোর সমাধান এই আর্টিকেলটিতে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে চলুন তবে এখন জেনে নেয়া যাক গর্ভবতী মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ এবং প্রতিকার প্রিয় পাঠক গর্ভকালীন সময়ে মহিলাদের নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বিশেষ করে কোমরের সমস্যাগুলো আরো বেশি দেখা দেয় একজন মহিলার ঘর সামলানোর পাশাপাশি নিজের শরীরের সঠিক খেয়াল রাখতে পারেনা এবং বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করার ফলে গর্ভবতী সময়ে মহিলাদের কোমর ব্যথার সমস্যা দেখা দেয় হরমোনের পরিবর্তন
  • প্রজেস্টেরন: এই হরমোন গর্ভাবস্থায় লিগামেন্টগুলিকে শিথিল করে, যার ফলে কোমরের জয়েন্টগুলিতে চাপ বৃদ্ধি পায় এবং ব্যথা দেখা দেয়।
  • রিলাক্সিন: এই হরমোন প্রসবের জন্য শরীরকে প্রস্তুত করে, তবে এটি পেলভিসের লিগামেন্টগুলিকেও শিথিল করে, যার ফলে কোমরের ব্যথা বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • শারীরিক পরিবর্তন
  • বর্ধিত ওজন: গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধির ফলে কোমরের উপর চাপ বৃদ্ধি পায় এবং ব্যথা দেখা দেয়।
  • পেটের বৃদ্ধি: বর্ধমান জরায়ু মেরুদণ্ডকে পিছনে ঠেলে দেয়, যার ফলে কোমরের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়।
  • ভারসাম্যহীনতা: বর্ধিত ওজন এবং পেটের বৃদ্ধির ফলে ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়, যার ফলে কোমরের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়।
অন্যান্য কারণ
  • খারাপ ভঙ্গি: দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা বা বসে থাকা, বা খারাপ ভঙ্গিতে ঘুমানোর ফলে কোমর ব্যথা হতে পারে।
  • পেশী টান: ভারী জিনিসপত্র তোলার ফলে পেশী টান হতে পারে।
  • মানসিক চাপ: মানসিক চাপ পেশীতে টান তৈরি করে এবং কোমর ব্যথার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
  • অন্তর্নিহিত চিকিৎসাগত অবস্থা: কিছু চিকিৎসাগত অবস্থা, যেমন অস্টিওপোরোসিস বা আর্থ্রাইটিস, গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যথার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
কোমর ব্যথার ধরণ
  • মেরুদণ্ডীয় ব্যথা: মেরুদণ্ডের নিচের অংশে ব্যথা।
  • স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্ট ব্যথা: পেলভিসের পিছনের দিকে ব্যথা।
  • সায়টিকা: পায়ের নিচের অংশে ব্যথা।
প্রতিরোধ
  • নিয়মিত ব্যায়াম: হাঁটা, সাঁতার কাটা, যোগব্যায়ামের মতো ব্যায়াম কোমরের পেশী শক্ত করে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা: দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা বা বসে থাকা এড়িয়ে চলুন। বসার সময় পিঠে সাপোর্ট ব্যবহার করুন।
  • স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা: অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি এড়িয়ে চলুন।
  • পর্যাপ্ত বিশ্রাম: প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
  • ভারী জিনিসপত্র তোলা এড়িয়ে চলুন।
  • সঠিক জুতা ব্যবহার: উঁচু হিলের জুতা এড়িয়ে চলুন এবং আরামদায়ক জুতা ব্যবহার করুন।
  • স্ট্রেস কমানো: যোগব্যায়াম, ধ্যানের মতো কার্যকলাপের মাধ্যমে স্ট্রেস কমাতে চেষ্টা করুন।

কোমর ব্যথার ওষুধের নাম

আপনি উপরের আলোচনাগুলো পড়ে নিশ্চয়ই জানতে পারছেন যে আর্টিকেল কি আপনার অনেক উপকারে আসবে চলুন তবে এখন কোমর ব্যথার কিছু ওষুধের নাম জেনে নেওয়া যাক প্রিয় পাঠক এ ওষুধ গুলো আমি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি তবে এগুলো খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে তারপর খাবেন 

কোমর ব্যথার জন্য অনেকগুলি ওষুধ পাওয়া যায়, তবে সেরাটি আপনার ব্যক্তিগত ব্যথার কারণ এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করবে। এখানে কিছু সাধারণ ধরণের কোমর ব্যথার ওষুধ রয়েছে
  • ওভার-দ্য-কাউনার (ওটিসি) ব্যথার ওষুধ: এগুলি হল সবচেয়ে সাধারণ ধরণের কোমর ব্যথার ওষুধ এবং এগুলি বেশিরভাগ ফার্মাসিতে কাউন্টারে পাওয়া যায়। ওটিসি ব্যথার ওষুধের মধ্যে রয়েছে অ্যাসিটামিনোফেন (টাইলেনল), আইবুপ্রোফেন (অ্যাডভিল, মোট্রিন) এবং ন্যাপ্রোক্সেন (অ্যালিভ)।
  • ওভার-দ্য-কাউনার (ওটিসি) ব্যথার ওষুধ: এগুলি হল সবচেয়ে সাধারণ ধরণের কোমর ব্যথার ওষুধ এবং এগুলি বেশিরভাগ ফার্মাসিতে কাউন্টারের উপরে পাওয়া যায়। এগুলির মধ্যে রয়েছে
  • অ্যাসিটামিনোফেন (টাইলেনল): এটি একটি ব্যথার ওষুধ যা হালকা থেকে মাঝারি ব্যথার চিকিৎসার জন্য কার্যকর হতে পারে।
  • অ্যাসিটামিনোফেন (টাইলেনল) ওষুধ
  • ইবুপ্রোফেন (অ্যাডভিল, মোট্রিন): এটি একটি ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ (এনএসএআইডি) যা হালকা থেকে মাঝারি ব্যথার পাশাপাশি প্রদাহের চিকিৎসার জন্য কার্যকর হতে পারে।
  • নেপ্রোক্সেন (অ্যালিভ): এটি আরেকটি NSAID যা হালকা থেকে মাঝারি ব্যথার পাশাপাশি প্রদাহের চিকিৎসার জন্য কার্যকর হতে পারে।
  • প্রেসক্রিপশন ব্যথার ওষুধ: যদি OTC ওষুধ আপনার ব্যথার উপশম না করে, তাহলে আপনার ডাক্তার আরও শক্তিশালী প্রেসক্রিপশন ওষুধ লিখে দিতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে:
  • মাসল রিল্যাক্সেন্টস: এগুলি পেশীগুলির শিথিল করতে সাহায্য করে এবং ব্যথার কারণ হতে পারে।
  • অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস: কিছু অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টগুলি দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার চিকিৎসায় কার্যকর হতে পারে, যেমন কোমর ব্যথা।
  • অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধ
  • অ্যান্টিকনভালসেন্টস: এই ওষুধগুলি সাধারণত খিঁচুনির চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়, তবে এগুলি কিছু ধরনের ব্যথার চিকিৎসায়ও কার্যকর হতে পারে, যেমন কোমর ব্যথা।
আপনার জন্য সঠিক কোমর ব্যথার ওষুধ নির্ধারণ করার জন্য আপনার ডাক্তার বা অন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনার ব্যথার কারণ নির্ণয় করতে এবং আপনার জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে

অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ

প্রিয় পাঠক অল্প বয়সে কোমর ব্যথায় এখন আমাদের দেশে এছাড়াও গোটা বিশ্ব এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এর মূল কারণ হচ্ছে আমাদের খাদ্য অভ্যাস এবং আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ভিটামিন না থাকা যার ফলে আমাদের অল্প বয়সেই হারগুলো ক্ষয় হয়ে যায় চলুন তবে আজকে কিছু জেনে নেওয়া যাক অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ এবং তার প্রতিকার সাধারণ কারণ
  • জীবনধারাগত
  • দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, বিশেষ করে খারাপ ভঙ্গিতে
  • অতিরিক্ত ওজন বহন
  • দুর্বল পেশী
  • অপর্যাপ্ত ব্যায়াম
  • খারাপ ঘুমের অভ্যাস
  • মানসিক চাপ
  • অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস
  • ধূমপান
  • অতিরিক্ত মদ্যপান
  • অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
  • আঘাত
  • খেলাধুলার সময় আঘাত
  • ভারী জিনিসপত্র তোলা
  • গাড়ি দুর্ঘটনা
  • অন্যান্য:
  • জন্মগত ত্রুটি
  • মেরুদণ্ডের বক্রতা
  • অস্টিওপোরোসিস
  • তরুণদের মধ্যে কিছু বিশেষ কারণ
  • স্কোলিওসিস: মেরুদণ্ডের বাঁকানো
  • শিশুদের মধ্যে স্পনডাইলাইটিস: মেরুদণ্ডের প্রদাহ
  • কিশোর-বয়সী রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস: জয়েন্টে প্রদাহ
  • সিফোসিস: মেরুদণ্ডের উপরের অংশের বাঁকানো
  • শিশুদের মধ্যে ডিস্ক হার্নিয়েশন: মেরুদণ্ডের ডিস্কের বাইরে চলে আসা
  • কখন ডাক্তারের সাথে দেখা করবেন
  • ব্যথা তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী হয়
  • ব্যথার সাথে অন্যান্য উপসর্গ থাকে, যেমন জ্বর, অবশ্যতা, পেশী দুর্বলতা
  • ব্যথা আপনার দৈনন্দিন জীবনে হস্তক্ষেপ করে
  • ব্যথার কোন স্পষ্ট কারণ নেই
রোগ নির্ণয়
আপনার চিকিৎসা ইতিহাস এবং উপসর্গগুলি নিয়ে আলোচনা শারীরিক পরীক্ষা এক্স-রে এমআরআই সিটি স্ক্যান
  • চিকিৎসা
  • ব্যথার কারণের উপর নির্ভর করে
  • চিকিৎসার বিকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে:
  • ব্যথার ওষুধ
  • ফিজিওথেরাপি
  • ওজন কমানো
ব্যায়াম
  • জীবনধারার পরিবর্তন
  • অস্ত্রোপচার (কিছু ক্ষেত্রে)
  • প্রতিরোধ
  • সুস্থ ওজন বজায় রাখা
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা
  • ভালো ভঙ্গিতে বসা
  • ভারী জিনিসপত্র সাবধানে তোলা
  • ধূমপান এবং অতিরিক্ত মদ্যপান এড়িয়ে চলা
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা
অল্প বয়সে কোমর ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা হতে পারে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ব্যথার কারণ গুরুতর নয়।
আপনার যদি কোমর ব্যথা থাকে তবে ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ।

শেষ কথা

মহিলাদের কোমর ব্যথা কারণ এবং প্রতিকার প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আলোচনা জুড়ে মহিলাদের কোমর ব্যাথার কারণ এবং তার প্রতিকার উল্লেখ করা হয়েছে, আশা করছি আর্টিকেলটি পরে আপনি উপকৃত হয়েছেন প্রিয় পাঠক আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটিকে শেয়ার দিয়ে অন্যকে তথ্য জানার সুযোগ করে দিন আমাদের নতুন তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ব্লক কে ফলো দিয়ে রাখবেন এবং আমাদের পরবর্তী আর্টিকেল পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪