ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়-গাস্টিক রোগের ওষুধ নাম
প্রিয় পাঠক ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়-গাস্টিক রোগের ওষুধ নাম
সম্পর্কে জানার জন্য হয়তো নানান জায়গায় খোঁজা করেছেন তারপরও সঠিক তথ্য করছেন
না তো সমস্যা নাই আজকে আমরা এই আর্টিকেলে আপনার সমস্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিব।
এবং সেই সাথে গ্যাস্ট্রিক দূর করার প্রাকৃতিক উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে
মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আমাদের সাথে থেকে পড়ে শেষ করুন
ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় গ্যাস্ট্রিক রোগের ওষুধ নাম এ বিষয়ে
যদি আপনার বিস্তারিত জানতে জানা থাকে তাহলে আপনি নিজে অনেক উপকৃত হতে পারবেন
পাশাপাশি অন্য কেউ সাহায্য করতে পারবেন তাই এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসতে
চলেছে চলুন তবে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর
করার উপায় গ্যাস্ট্রিক রোগের ওষুধ নাম
গ্যাস্ট্রিক দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
প্রিয় বন্ধুরা গ্যাস্ট্রিক দূর করার প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে নিজের নিয়মিত দৈনিক
জীবনকে পরিবর্তন করে নিয়ন্ত্রণে আনা এবং সেই সাথে আমাদের দেবতা অভ্যাসগুলো
রয়েছে সেগুলো পরিবর্তন করে নেওয়া চলুন তবে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক গ্যাসটি
দূর করার প্রাকৃতিক উপায় খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন
- নিয়মিত খাবার:দিনে তিন বেলা নিয়মিত খাবার খান এবং দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকবেন না।
- ছোট ছোট করে বারবার খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার:ফল, শাকসবজি, এবং গোটা শস্য খান।
- ফাইবার হজম উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- পানি:প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
- পানি হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং অ্যাসিড নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে।
- চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন:ভাজা, তৈলাক্ত এবং চর্বিযুক্ত খাবার গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি বাড়ায়।
- মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন:মসলাযুক্ত খাবার পেটে জ্বালাপোড়া করতে পারে।
- অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইন এড়িয়ে চলুন:এগুলি পেটে অ্যাসিডের উৎপাদন বাড়াতে পারে।
- জীবনধারা পরিবর্তন:ধূমপান ত্যাগ করুন:ধূমপান গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি বাড়ায়।
- মানসিক চাপ কমিয়ে দিন:যোগব্যায়াম, ধ্যান, বা অন্যান্য শিথিলকরণ কৌশল অনুশীলন করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন:নিয়মিত ব্যায়াম হজম উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- পর্যাপ্ত ঘুম:প্রতি রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান।
- প্রাকৃতিক উপায়:আদা:আদা হজম উন্নত করতে এবং গ্যাস ও পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে।
- পুদিনা:পুদিনা পেটে জ্বালাপোড়া এবং বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে।
- এলাচ:এলাচ হজম উন্নত করতে এবং গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।
- লবঙ্গ:লবঙ্গ পেটে জ্বালাপোড়া এবং অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।
- কাঁচা কলা:কাঁচা কলা পেটের আস্তরণকে রক্ষা করতে এবং অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।
- দই:দই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ, যা হজম উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে
পরামর্শ করুন।
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাবেন না।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়-গাস্টিক রোগের ওষুধ নাম
প্রিয় পাঠক অনেকেই মনে করেন যে গ্যাস্টিক হলে শুধু কিছু ওষুধ খেলে গ্যাস্ট্রিক
নিরাময় করা সম্ভব তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি যে ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর
করার উপায় রয়েছে। যা আপনার গ্যাস্ট্রিক দূর করতে সাহায্য করবে এবং আপনার শরীরের
কোন ক্ষতি হতে দিবে না চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার
উপায়
এখানে ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার কিছু উপায় দেওয়া হল:
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন: পানি হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং মল নরম করে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন কমপক্ষে আট গ্লাস পানি পান করার লক্ষ্য রাখুন। এবং খাবারের আগে এবং পরে একটি গ্লাস পানি পান করুন।
- পানি পান করুন
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন: নিয়মিত ব্যায়াম করলে হজম উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কমপক্ষে 30 মিনিট ব্যায়াম করার লক্ষ্য রাখুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন
- একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য খান: একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া গ্যাস্ট্রিক প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। ফল, শাকসবজি এবং গোটা শস্যের মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার উপর ফোকাস করুন। চর্বিযুক্ত, ভাজা এবং মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- একটি স্বাস্থ্যকর খাবার খান
- আপনার খাবার ভালভাবে চিবিয়ে খান: আপনার খাবার ভালভাবে চিবিয়ে খাওয়া হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি কমায়। প্রতিটি কামড় কমপক্ষে 20 বার চিবানোর লক্ষ্য রাখুন।
- ধূমপান ত্যাগ করুন: ধূমপান গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি বাড়ায়। আপনি যদি ধূমপান করেন তবে গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি কমাতে এটি ছেড়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
- ধূমপান ত্যাগ করুন
- মানসিক চাপ কমিয়ে দিন: মানসিক চাপ গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকি বাড়ায়। মানসিক চাপ কমাতে যোগব্যায়াম, ধ্যান বা অন্যান্য শিথিলকরণ কৌশল অনুশীলন করা গুরুত্বপূর্ণ।
- মানসিক চাপ কমিয়ে দিন
- এখানে গ্যাস্ট্রিক রোগের কিছু ওষুধ রয়েছে:
- প্রোটন পাম্প ইনহিবিটরস (পিপিআই): পিপিআই পেটে অ্যাসিডের উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে। এগুলি হলো ওমেপ্রাজোল, ল্যানসোপ্রাজোল এবং প্যান্টোপ্রাজোলের মতো ওষুধ।
- হিস্টামিন (H2) রিসেপ্টর অ্যান্টাগনিস্টস: H2 ব্লককারীরা পেটে অ্যাসিডের উৎপাদনও কমাতে সাহায্য করে। এগুলি হলো সিমেটিডিন, রানিটিডিন এবং নিজাটিডিনের মতো ওষুধ।
গ্যাস্ট্রিকের সবচেয়ে ভালো ঔষধ কোনটি
প্রিয় পাঠক গ্যাস্ট্রিকের জন্য সবচেয়ে ভালো ওষুধ কোনটি এ বিষয়ে আমি সঠিক বলতে
পারব না কারণ আমি একজন লেখক তবে আমি আপনাদের সাথে কিছু পরিচিত গ্যাস্ট্রিকের
ওষুধের নাম বলব যা আপনার অনেক উপকারে আসবে এবং এগুলো খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই
ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন এবং ওষুধের নাম গুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে
সংগ্রহ করেছি
গ্যাস্ট্রিকের বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে এবং বিভিন্ন রোগীর জন্য ভিন্ন ভিন্ন ঔষধ
কার্যকর হতে পারে। তাই, আপনার জন্য কোন ঔষধটি সবচেয়ে ভালো হবে তা নির্ধারণ করার
জন্য একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে, গ্যাস্ট্রিকের কিছু সাধারণ ঔষধ সম্পর্কে আমি আপনাকে কিছু তথ্য দিতে পারি:
১) অ্যান্টাসিড: এই ঔষধগুলি পাকস্থলীর অ্যাসিড নিরপেক্ষ করে কাজ করে। উদাহরণ:Tums
Rolaids
Gaviscon
২) H2 রিসেপ্টর ব্লকার: এই ঔষধগুলি পাকস্থলীতে অ্যাসিডের উৎপাদন কমিয়ে কাজ করে।
উদাহরণ:Zantac
Pepcid
Tagamet
৩) প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর (পিপিআই): এই ঔষধগুলি পাকস্থলীতে অ্যাসিডের উৎপাদন বন্ধ
করে কাজ করে। উদাহরণ:Prilosec
Nexium
Prevacid
৪) ডোমপেরিডন: এই ঔষধটি পাকস্থলী এবং অন্ত্রের গতিশীলতা উন্নত করে কাজ করে।
উদাহরণ:Motilium
Domstal
৫) সিসাপ্রাইড: এই ঔষধটিও পাকস্থলী এবং অন্ত্রের গতিশীলতা উন্নত করে কাজ করে।
উদাহরণ:Pridom
Metoclopramide
মনে রাখবেন:কোন ঔষধ সেবন করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে ঔষধ সেবন করা উচিত নয়।
ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন থাকুন এবং কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
দেখা দিলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা প্রতিরোধে কিছু টিপস:নিয়মিত খাবার খান।
- ঝাল, তৈলাক্ত এবং মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান করা ত্যাগ করুন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যায়াম
প্রিয় বন্ধুরা উপরের আলোচনা পড়ে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন যে গ্যাস্ট্রিক দূর
করার প্রাকৃতিক উপায় এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে
জানতে হলে আমাদের সাথে থাকতে হবে এবং আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে শেষ করতে হবে
এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে যে গ্যাস্ট্রিক দূর করার কিছু ব্যায়াম চলুন তবে
জেনে নেওয়া যাক গ্যাস্ট্রিক দূর করার ব্যায়াম গ্যাস্ট্রিক দূর করতে এবং
হজমশক্তি উন্নত করতে কিছু সহজ ব্যায়াম সাহায্য করতে পারে।
কিছু কার্যকরী ব্যায়াম :
১) হাঁটা:প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করে।
খাওয়ার পর হাঁটা বিশেষভাবে উপকারী।
২) বাজাসন:এই আসনটি হজম উন্নত করতে এবং পেটের পেশী শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট এই আসনটি করুন।
৩) পশ্চিমোত্তানাসন:এই আসনটি পেটের পেশীগুলিকে টান করে এবং হজম উন্নত করতে
সাহায্য করে।
প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট এই আসনটি করুন।
৪) শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম:গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস পেটের পেশীগুলিকে শিথিল করতে
এবং হজম উন্নত করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন।
৫) যোগব্যায়াম:নিয়মিত যোগব্যায়াম অনুশীলন করলে হজম উন্নত করতে এবং
গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করে।
ব্যায়াম করার সময় কিছু টিপস:খাওয়ার 2-3 ঘণ্টা পরে ব্যায়াম করুন।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
ব্যথা অনুভব করলে ব্যায়াম বন্ধ করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
যদি আপনার কোনও গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তাহলে ব্যায়াম করার আগে একজন
ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
ব্যায়াম করার সময় আপনার শরীরের কথা শুনুন এবং অতিরিক্ত চাপ দেবেন না।
- এই ব্যায়ামগুলি ছাড়াও, গ্যাস্ট্রিক দূর করতে আপনি আরও কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন:নিয়মিত খাবার খান এবং দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকবেন না।
- ঝাল, তৈলাক্ত এবং মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
- ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান করা ত্যাগ করুন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
- মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন।
গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার
আমাদের দেশের মানুষ গুলো অনেক খেতে ভালোবাসে এবং তাদের অতিরিক্ত খাবার
খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সম্মুখীন
হতে হয়। তবে গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি অতি সহজে
ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করতে পারবেন
- গ্যাস্ট্রিক একটি সাধারণ সমস্যা যা অনেকের কষ্টের কারণ। পেটে অ্যাসিডের কারণে এটি হয়। গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:পেটে ব্যথা
- জ্বালা
- বমি বমি ভাব
- অম্বল
- পেট ফাঁপা
- বদহজম
কিছু খাবার গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
১) নারকেল জল:নারকেল জলে প্রচুর পরিমাণে ইলেক্ট্রোলাইট থাকে যা পেটের অ্যাসিড
নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
এটি পেট ঠান্ডা রাখতে এবং বমি বমি ভাব কমাতেও সাহায্য করে।
২) শসা:শসা পানিতে ভরপুর এবং এতে ক্যালোরি কম।
এটি পেট ঠান্ডা রাখতে এবং হজম উন্নত করতে সাহায্য করে।
৩) কলা:কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা পেটের অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করতে
সাহায্য করে।
এটি পেটে আস্তরণ তৈরি করে এবং জ্বালা কমাতে সাহায্য করে।
৪) ভাত:ভাত হজম করা সহজ এবং এতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা থাকে যা শরীরকে শক্তি
দেয়।
এটি পেট ঠান্ডা রাখতে এবং বমি বমি ভাব কমাতেও সাহায্য করে।
৫) দই:দইতে প্রোবায়োটিক থাকে যা হজম উন্নত করতে এবং পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য
করে।
এটি পেটের অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে।
৬) আদা:আদা হজম উন্নত করতে এবং বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে।
এটি পেটের ব্যথা এবং জ্বালা কমাতেও সাহায্য করে।
৭) পুদিনা:পুদিনা হজম উন্নত করতে এবং পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে।
এটি পেটের ব্যথা এবং জ্বালা কমাতেও সাহায্য করে।
৮) জিরা:জিরা হজম উন্নত করতে এবং বদহজম কমাতে সাহায্য করে।
এটি পেটের ব্যথা এবং জ্বালা কমাতেও সাহায্য করে।
৯) মৌরি:মৌরি হজম উন্নত করতে এবং পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করে।
এটি পেটের ব্যথা এবং জ্বালা কমাতেও সাহায্য করে।
১০) তুলসি:তুলসি হজম উন্নত করতে এবং বদহজম কমাতে সাহায্য করে।
এটি পেটের ব্যথা এবং জ্বালা কমাতেও সাহায্য করে।
এই খাবারগুলি ছাড়াও, গ্যাস্ট্রিক দূর করতে আপনি আরও কিছু পদক্ষেপ নিতে
পারেন:নিয়মিত খাবার খান এবং দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকবেন না।
ঝাল, তৈলাক্ত এবং মস
গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যাথা দূর করার উপায়
প্রিয় বন্ধুরা গ্যাস্ট্রিক হওয়ার সময় পেটে ব্যথা বুকে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক
ব্যাপার কিন্তু অনেকেই চিন্তিত থাকেন যে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হলে বুকে ব্যথা
হওয়ার ক্ষতিকর দিক নিয়ে তবে সমস্যা নাই এই আর্টিকেলটি আপনাকে সমস্ত বিষয়ে
জানিয়ে দিবে এবং বিস্তারিত আলোচনা করা হবে যে গ্যাস্ট্রিক বুকে ব্যথা দূর করার
সহজ উপায়
প্রথমত, বুঝতে হবে যে বুকে ব্যাথা সবসময় হৃদরোগের কারণে হয় না। অনেক সময়
গ্যাস্ট্রিকের কারণেও বুকে ব্যাথা হতে পারে।
গ্যাস্ট্রিকের কারণে বুকে ব্যাথা দূর করার কিছু উপায়
১) ঠান্ডা পানি পান করুন:ঠান্ডা পানি পেটের অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করতে এবং বুকে
জ্বালা কমাতে সাহায্য করে।
২) পেটের উপর চাপ দিন:বসে থাকার সময় হালকা করে পেটের উপর চাপ দিলে বুকে ব্যাথা
কমতে পারে।
৩) হাঁটুন:হাঁটা হজম উন্নত করতে এবং গ্যাস বের করতে সাহায্য করে।
৪) ওষুধ সেবন:গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বুকে ব্যাথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
তবে, ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
৫) কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন:ঝাল, তৈলাক্ত এবং মসলাযুক্ত খাবার বুকে ব্যাথা
বাড়িয়ে দিতে পারে।
এছাড়াও, ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।
৬) ধূমপান ত্যাগ করুন:ধূমপান বুকে ব্যাথা বাড়িয়ে দিতে পারে।
তাই, ধূমপান ত্যাগ করা গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করবে।
৭) মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন:মানসিক চাপ গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলি বাড়িয়ে
দিতে পারে।
তাই, যোগব্যায়াম, ধ্যান, বা অন্য কোনও উপায়ে মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন।
৮) নিয়মিত খাবার খান:নিয়মিত খাবার খাওয়া হজম উন্নত করতে এবং গ্যাস্ট্রিকের
লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করে।
৯) পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন:পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা হজম উন্নত করতে
এবং গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করে।
১০) ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন:যদি বুকে ব্যাথা তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়,
তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি খাওয়া যাবে না
গ্যাস্ট্রিক হলে কিছু খাবার এড়িয়ে চললে আপনার অস্বস্তি কম হতে পারে। এখানে কিছু
খাবারের তালিকা দেওয়া হল যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে:
১. তেল-মশলাযুক্ত খাবার: অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করে এবং
পেটে গ্যাসের সৃষ্টি করে। ভাজা-পোড়া, তরকারি, বিরিয়ানি, রেজালা, পোলাও, ফাস্ট
ফুড, মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন।
২. কার্বোনেটেড পানীয়: কোকাকোলা, ফ্যান্টা, স্প্রাইট, সোডা, বিয়ার ইত্যাদি
কার্বোনেটেড পানীয় পেটে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
৩. দুগ্ধজাত খাবার: দুধ, দই, পনির, মাখন, আইসক্রিম ইত্যাদি দুগ্ধজাত খাবার কিছু
লোকের হজমে সমস্যা তৈরি করে। ল্যাকটোজ intolerance থাকলে দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে
চলুন।
৪. ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়: চা, কফি, কোলা, শক্তি পানীয় ইত্যাদি ক্যাফেইনযুক্ত
পানীয় পেটের অ্যাসিড বৃদ্ধি করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ায়।
৫. অম্লীয় খাবার: লেবু, কমলা, টমেটো, আঙ্গুর, আনারস ইত্যাদি অম্লীয় খাবার পেটে
অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ায়।
৬. শক্ত খাবার: লাল মাংস, শক্ত সবজি, বাদাম, বীজ ইত্যাদি শক্ত খাবার হজমে সমস্যা
তৈরি করে এবং পেটে গ্যাসের সৃষ্টি করে।
৭. ফাইবারযুক্ত খাবার: ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মটরশুঁটি, মসুর ডাল, ছোলা
ইত্যাদি ফাইবারযুক্ত খাবার কিছু লোকের হজমে সমস্যা তৈরি করে।
৮. চিনিযুক্ত খাবার: চকলেট, কেক, বিস্কুট, মিষ্টি, আইসক্রিম ইত্যাদি চিনিযুক্ত
খাবার পেটে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
৯. অ্যালকোহল: অ্যালকোহল পেটের অ্যাসিড বৃদ্ধি করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
বাড়ায়।
১০. ধূমপান: ধূমপান পেটের অ্যাসিড বৃদ্ধি করে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়ায়।
কিছু টিপস:
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
- ধীরে ধীরে এবং ভালোভাবে চিবিয়ে খাবার খান।
- খাবার খাওয়ার পরপর ঘুমাতে যাবেন না।
- নিয়মিত খাবার খান।
- অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- স্ট্রেস কমাতে চেষ্টা করুন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আলোচনা পড়ে অবশ্যই আপনি জানতে পেরেছেন যে ঘরোয়া পদ্ধতিতে
গ্যাস্টিক দূর করার উপায় এবং গ্যাস্ট্রিক রোগের ওষুধ নাম এ বিষয়ে যদি আপনার
বিস্তারিত জানা থাকে তাহলে আপনি নিজে থেকে নিজের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে
পারবেন প্রিয় বন্ধুরা যদি আপনার এই আর্টিকেল উপকারে আসে থেকে তাহলে আপনার
বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজন সবাইকে শেয়ার করে দিন এবং পড়ার আমন্ত্রণ জানান
এবং আমাদের ব্লক কে শেয়ার দিয়ে পাশে থাকবেন এবং কোন ভুল ত্রুটি হলে কমেন্ট
বক্সে জানাবেন ধন্যবাদ ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url