ডায়াবেটিকস প্রতিরোধ এবং মুক্তি পাওয়ার উপায়

ডায়াবেটিস হচ্ছে এমন একটি রোগ যা রক্তের গ্লুকোজ এবং চীনের উপস্থিত মাত্রাবৃত্তি করে আমাদের খাবার খেয়ে শরীরে যে গ্লুকোজ হয় গ্লুকোজ কোর্সগুলোতে ইনসুলিন মুক্তির হরমন হিসেবে কাজ করে। যাতে তারা শক্তি পেতে পারে ডায়াবেটিস রোগ বোঝার আগে ইনসুলিন এর গুরুত্ব বুঝতে হবে নিয়ন্ত্রণ করে প্রবেশ করতে পারে না এটি রক্তনালীতে জমা হয় এটি কোন ব্যক্তিকে ডাইবেটিস আক্রান্ত করে তোলে

ডায়াবেটিস মূলত দুই ধরনের ডায়াবেটিস ১ এই ডায়াবেটিস বেশিরভাগ কম বয়সী শিশু অথবা 20 বছরের কম বয়সী ছেলে মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। ডায়বেটিক্স এক্স ইনসুলিন শরীরে তৈরি হয় না। ডায়াবেটিস ২ ইতিমধ্যে সুগার আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশিরভাগ বেশিরভাগ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হয় টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ইন শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয় তবে এটি সঠিকভাবে কাজ করে না। বা শরীরের মতে প্রয়োজনে পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি হয় না ডায়াবেটিস থাকা ১০ জনের মধ্যে নয় জন ব্যক্তির টাইপ ২ ডায়াবেটিস আছে

ডায়াবেটিসের বিভিন্ন ধরনের কারণ থাকতে পারে এর মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো শরীরে বেশি পরিমাণ জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলে শরীরের ক্যালরি এবং ফ্যাট পরিমাণ বেড়ে যায় যার কারণে ইনসুলিন চিনির মাত্রা বেড়ে যায় জিনগত রোগের কারণে ডায়াবেটিস হতে পারে ডায়াবেটিস শরীরের অতিরিক্ত ওজন এবং ওজন বৃদ্ধির কারণে ঘটতে পারে 

আরো পড়ুনঃবারোমাসি সবজি তালিকা ও কোন সবজি ও ফল চাষ করবেন ২০২৪

প্রতিদিনের শারীরিক ক্রিয়া-কলাপ অনুশীলন না করায় ডাইবেটিস হতে পারে ডায়াবেটিস অন্য কিছু অনেক বিরল কারণও আছে এর মধ্যে রয়েছে অগ্নাশয় গ্রন্থির কোন সমস্যা যেমন দীর্ঘমেয়াদী প্যানক্রিয়াটাইসিস স্টের‍্যেড এর মত ওষুধগুলোর কারণে ঘটার ডায়াবেটিস সিটিক্স এর মতে অন্য কোন স্বাস্থ্য সমস্যা অথবা কুকিং সিনড্রোম এর মতে একটি এন্ড্রো ক্রিম স্বাস্থ্য সংস্থার অংশ হিসেবে হওয়া ডায়াবেটিস হয়

চিকিৎসকরা ডায়াবেটিক চিকিৎসার রোগীকে চিনির স্তর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সঠিক ডায়েট ও ব্যায়াম যোগের শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করার পরামর্শ দেন ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং রোগীর ক্ষেত্রে চিনির স্তর পরীক্ষা করে দেখতে হবে ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রে দুই ধরনের ব্লাড সুগার টেস্ট করা হয় দ্বিতীয় পরীক্ষা খাওয়ার পরে কি করা হয়

এরপর রোগের অবস্থা বুঝে তবে চিকিৎসকরা তাকে ওষুধ দেন। তার চোখের রেটিনা ইত্যাদি পরীক্ষা করানো রোগ নির্ণয় রক্তে শর্করা মাত্রা পরীক্ষা করে বহুমূত্র রোগ নির্ণয় করা হয় তার উর্ধ্ব বয়সেই সকল ব্যক্তি ডায়াবেটিস জন্য পরীক্ষা করা উচিত তবে কিছু ক্ষেত্রে অল্প বয়স পরীক্ষার হওয়া উচিত

ডায়াবেটিস রোগীদের দৈনিক ব্যায়াম ও হাটা হাটি করা উচিত চিকিৎসকরা বলেছেন প্রতি সপ্তাহে আড়াই ঘণ্টার মতো ব্যায়াম করা দরকার তার মধ্যে শরীর দ্রুত হাঁটা ও সিড়ি করে ওঠানামা কার উচিত 

ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তে শর করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করবেন প্রক্রিয়াজাত খাবার ও পানি এড়িয়ে চলতে হবে এড়িয়ে চলতে হবে হোয়াইট পান্তা ফ্রিজ ডিক্সিং চিনি জাতীয় পানি ও মিষ্টি ইত্যাদি খেয়াল রাখতে হবে যেন শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে না যায় এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে

নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে বেশি বেশি পানি পান করুন খাদ্য তালিকায় অন্তত তিন ধরনের তাজা সবজি থাকতে হবে প্রতিদিন একই সময়ে খাবার খান কম ফ্যাট যুক্ত দুধ পান করুন প্রতিদিন কমপক্ষে 20-25 গ্রাম কাঁচা পেঁয়াজ খান খান খানিকটা তার চিনি খেতে পারেন নিয়মিত পরিমান মত তাজা ফল খেতে হবে

কখনও বেশি পরিমাণ খাবার খাবেন না যেসব খাদ্যপানের যে সব খাদ্যে পানি অথবা চিনির পরিমাণ বেশি সেই খাবার থেকে বিরত থাকুন কাঁচা লবণ নয় খাবেন না বেশি ভাজা ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া যাবে না প্রতিদিন দুই কাপের বেশি চা কফি খাওয়া যাবেনা দুধ খেতে হলে ফ্যাট কমিয়ে খেতে হবে পনির খেতে হলে ফ্যাট ছাড়াই খেতে হবে আলু ভর্তা কলা ভর্তা গাজর রক্তের চিনির পরিমাণ বাড়ায় তাই এই সব থেকে বিরত থাকাই ভালো।

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি যে বিষয় নিয়ে খোঁজাখুঁজি করছিলেন এবং সমস্ত আলোচনা পড়ে আপনার কাঙ্খিত উত্তর পেয়েছেন।এবং অবশ্যই ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে বা ডাইবেটিসের রোগীদের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে আপনার যদি আর্টিকেল পছন্দ বা ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজন সবাইকে এই বিষয়ে জানিয়ে পড়ার আমন্ত্রণ জানাবেন এবং রাজশাহী ব্লগকে ফলো এবং শেয়ার দিয়ে পাশে থাকবেন ধন্যবাদ