পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায়

পায়খানা কষা হলে আমাদের শরীরের নানান অসুবিধা হয়। আমাদের চলাফেরা করতে অনেক অসুবিধা হয়। মানুষের শরীরে প্রায় দেখা যায় এ কষ্টকাঠিন্য সমস্যা। তে আক্রান্ত হওয়া। এই সমস্যা হলে মূল থেকে সময় অনেক কষ্ট হয় এবং অনেক কম কসরত করার ফলে মলত্যাগ করা সম্ভব হয় কিছুটা পায়খানা কথা থাকলে বলতে গেলে পরে মনে হয় 

পেট ঠিকমতো পরিষ্কার হয়নি তিন থেকে চারদিন পায়খানা নাম হতে পারে আর এই সবগুলো লক্ষণ হচ্ছে কষ্টকাঠিন্য ।দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগে থাকলে পাইলস বা অর্শ রোগ এনাল ফিচার বা গেজ রোগের মত পায়ুপথের রোগ সৃষ্টি হতে পারে। পায়খানা শক্ত বা কোষ্ঠকাঠিন্য সম্পর্কে জানতে পুরো আলোচনা করুন।

পায়খানা শক্ত হওয়া বা ৩-৪ দিন ধরে পায়খানা না হওয়াকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে কম পায়খানা হলে সেটি কেউ কষ্ট কাঠিন্য হিসেবে ধরা হয় কোষ্ঠকাঠিন্য হলে যে লক্ষণ গুলো দেখা যায় সেই লক্ষণ গুলো নিচে দেওয়া হল পায়খানা শুকনো হওয়া পায়খানা শক্ত হয়ে চাকার মত হয়ে যাওয়া মলত্যাগ করতে অনেক কষ্ট হয়ে যায় মলত্যাগ হওয়ার পর শরীর অস্বস্তি বোধ পায়খানার পর পেট পরিষ্কার না হওয়া এমন অনুভব হওয়া শরীরে শরীরে বমি বমি ভাব হয় পেটে ব্যথা হওয়া পেট ফাঁপা লাগা পায়খানা স্বাভাবিক তুলনায় বড় হওয়া ইত্যাদি।

কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার কারণগুলো নিচে সংক্ষিপ্ত আকারে দেয়া হলো অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার খাওয়া এবং মসলা খাওয়া আর যুক্ত খাবার না খাওয়া অনিয়মিত খাদ্য অভ্যাস পরিমাণ মতো পানি পান না করা পায়খানার বেক আসলে চাঁদ চেপে রাখা শুয়ে বসে থাকা অথবা শারীরিক পরিশ্রমের অভাব মানসিক চাপের উদ্বেগ -বিষন্নতা ওষুদের প্রতিক্রিয়া শরীরের

পায়খানা ক্লিয়ার করার ট্যাবলেটের নাম নিচে দেওয়া আছে 

• Duralax 
• Dulcolax
• Lactulose 
• Sena Tablet 
• bisacovil(বিসাকোভিল)

এই ওষুধগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করলে খুব সহজেই পায়খানা ক্লিয়ার বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে তবে এই ওষুধগুলো সবগুলো কখনো একসাথে সেবন করা যাবে না ।এতে আপনার শরীর নানান ক্ষতি হতে পারে, এই ওষুধগুলোর কিছু পার্থ প্রতিক্রিয়া রয়েছে যা অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার ফলে দেখা দেয় তাই আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন এবং ওষুধ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে নিবেন।

ডুরলাস্ক (Durlax) আমাদের দেশের বাজার জাত যেহেতু নানান সময়ে নানান কারণে পরিবর্তন হয় সেই কারণে ওষুধের মূল্য কম বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক এজন্য ওষুধের দাম উল্লেখ করলাম না ডুরলাস্ক (Durlax) সিরাপ দিনে দুইবার করে খাবেন যখন কষ্টে কষ্ট কাঠিন্য রোগ থাকবে তখন এই ওষুধ সেবন করতে হবে এবং ট্যাবলেট হলেও দিনে দুইবার খাবেন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে গেলে ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দিন

(Dulcolax) পায়খানা শক্ত ক্লিয়ার করার জন্য এই ওষুধটি অধিক কার্যকর এই ওষুধ খাওয়ার ফলে অতি দ্রুত আপনি পায়খানা শক্ত বা কষ্ট কাঠিন্য থেকে মুক্তি পাবেন এটি দিনে দুইবার করে খাবেন এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে গেলে শুধু সেবন করার ছেড়ে দিন অতিরিক্ত ওষুধ খাওয়ার পরে শরীরের পাকস্থলী বিকলাঙ্গ হয়ে যেতে পারে এবং শরীর পাকস্থলী কাজ করতে অক্ষম হতে পারে 

(Lactulose)এই ওষুধটি পার্থ প্রতিক্রিয়া অন্যান্য ওষুধের তুলনায় একটু কম এই ওষুধ খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন এটি দিনে একবার সেবন করলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অনেকটা আরাম পাওয়া সম্ভব অনেকদিন অনেক দিন যাবত ওষুধ খাওয়া উচিত নয় এই ওষুধটি বাচ্চাদের খাওয়ানো যাবে কিনা সেই বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন সেনা ট্যাবলেট 

(Sena Tablet) ডাক্তাররা বলেন এই ওষুধটি পায়খানা শক্ত বা কষ্ট কাঠিন্যর রোগ সংস্থা দূর করতে অনেক বেশি কার্যকরী। এই এসব সেবন করার ফলে পেটে জ্বালা যন্ত্রণা দূর করে পায়খানা ক্লিয়ার করার ব্যবস্থা করে দেয় এ ওষুধটি সর্বোচ্চ দুই দিন এবং দিনে দুইবার করে সেবন করতে হবে এতে আপনার শরীরে কোন ক্ষতি হবে না এবং শরীর সুস্থ বোধ করবেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে আপনার জন্য অত্যন্ত ভালো হবে ভিসা কভিল 

(Bisa covil) ভিসা কভিল ওষুধ হচ্ছে একটি সেরা একটি খাবার পর খেতে হবে এতে খুব তাড়াতাড়ি পায়খানা শক্ত হওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব এই ওষুধটি তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই এই ওষুধটি দিনে দুইবার সেবন করা যেতে পারে এই ওষুধটি সেবন করার ফলে এক বছর আপনার পায়খানা শক্ত হবে না এবং এই সিরাপটি সকল প্রাকৃতিক ঔষধি গুন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া প্রাকৃতিক ওষুধ বা ফলমূল শাকসবজি খাওয়ার মাধ্যমে পায়খানা শক্ত থেকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব ফলমূল গুলো হল 

• বিদেশি ফল কিউই 
•  নাশপাতি 
• বেল 
• পেঁপে 
• পালং শাক 
• গোটশস্য 
• আঁশ যুক্ত খাবার 
•  কলমি শাক
•  কলা 
• আপেল ইত্যাদি পরিপুষ্ট ভিটামিন যুক্ত শাকসবজি

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য উপযোগী একটি উপায় হচ্ছে ঘরোয়া পদ্ধতি এই পদ্ধতি অবলম্বনে কোন প্রকার ওষুধ ঝামেলা ছাড়াই কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করা সম্ভব এই পদ্ধতি নিয়মিত অবলম্বন করলে সারা জীবনের জন্য পায়খানা কষা বা কষ্ট কাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব এই পদ্ধতি অবলম্বনে শরীরের নানান ব্যায়াম হওয়ার পাশাপাশি পায়খানা ক্লিয়ার করা সম্ভব 

• দৈনিক নিয়মিত শরীর নড়াচড়া করা এবং 
• সকালে নিয়ম করে হাঁটাচলা করা 
• নিয়মিত পরিমাণ মতো পানি পান করুন অধিক পার পরিমাণ পানি গ্রহণ করুন 
• পেটের গ্যাস দূর করার জন্য সকালে খালি পেটে এক গ্লাস করে পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন 
• আঁশ যুক্ত খাদ্য গ্রহণ এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করা খাবার গ্রহণ করুন 
• শুয়ে বসে না থেকে শারীরিক পরিশ্রম করুন 
• পায়খানা আসলে তার চেপে ধরে না রেখে তখনই মলত্যাগ করুন চেষ্টা করুন  
• মানসিক  স্বাস্থ্য উন্নত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করুন এবং দিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করুন

আমাদের জীবন এবং শারীরিক সুস্থ রাখার জন্য যেমন নিয়মিত ফলমূল শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন তেমনি পেট পরিষ্কার রাখার জন্য প্রতিদিন মলত্যাগ করা অত্যন্ত প্রয়োজন এবং পেট পরিষ্কার রাখা প্রতিদিন পায়খানা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ শরীরের ভূমিকা পালন করে নিয়মিত পায়খানা না হলে আমাদের শরীর নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় 

কিছু মূল কারণ হচ্ছে ঠিক সময় খাবার না খাওয়া দৈনিক ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হালকা গরম দুধের সাথে ইসব গুলের ভুসি নিবেন তিন থেকে চার চামচের মত এবং দুধের সাথে ভুসি মিস করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর খেয়ে নিন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অনেকটা দূরে থাকা সম্ভব।

এবং নিয়ম করে নিমপাতা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হওয়ার পাশাপাশি আপনার শরীরের নানান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য কালোজিরাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে