বোরো ধান উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল ও করনীয় ২০২৪
প্রিয় পাঠক এবং শ্রদ্ধেয় কৃষক ভাইয়েরা বোরো ধান উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল ও করণীয় ২০২৪ সম্পর্কে হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না তো সমস্যা নাই আজকে আমরা এই আর্টিকেল মাধ্যমে আপনার সমস্ত প্রশ্নের সঠিক উওর দেওয়ার জন্য প্রস্তুত এবং বোরো ধানে রোগ দমনে করণীয় ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ুন
প্রিয় কৃষক ভাইয়েরা আপনার যদি সঠিক নিয়মে বোরো ধান উৎপাদন বিষয়ে জানা থাকে তাহলে অল্প সময়ে আপনি বোরো ধান চাষ করে একজন সফল কৃষক হতে পারবেন তা দেরি না করে চলুন ঝটপট তাড়াতাড়ি সম্পূর্ণ আটিকেলটি এবং অবশ্যই নিচের গুরুত্বপূর্ণ আলচনা গুলো সম্পূর্ণ পড়ুন।
ভূমিকা
বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ বাংলাদেশের মানুষ প্রায় ৮০ শতাংশ কৃষি কাজের সাথে জড়িত বাংলাদেশ মানুষের প্রধান খাদ্য হচ্ছে ভাত এবং এ দেশের মানুষকে মাছে ভাতে বাঙালি বলার কারণ এদের অত্যন্ত প্রিয় এবং প্রধান খাদ্য হচ্ছে ভাত আমাদের দেশের কৃষকরা অনেক পরিশ্রমী হয় তারা অনেক কষ্ট করে বোরো ধান সহ অন্যান্য
শীতকালীন শাকসবজি ইত্যাদিও উৎপাদন করে থাকেন কিন্তু অনেক কৃষকরা আছেন যারা সঠিক সময়ে ধান চারা রোপন সেচ দেওয়া সার প্রয়োগ গাছের পরিচযা এগুলো যারা না জানার ফলে তাদের সঠিক পরিশ্রম ফসল পেতে পারেন না প্রিয় কৃষক ভাইয়েরা এবং যারা কৃষিকাজ নিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার চিন্তা ভাবনায় আছেন তাহলে এই আর্টিকেলটি শুধু আপনাদের জন্য তাই ধানের চারা রোপন থেকে শুরু করে ধান ফসল কাটার সময় সংরক্ষণ ইত্যাদি জানার জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
চারা তৈরি
গুণগত চারা পাওয়ার জন্য রোগমুক্ত জীবাণুমুক্ত পরিষ্কার পরিপুষ্ট পরিপূর্ণ বীজ ব্যবহার করতে হবে এবং বোরো মৌসুমে ভেজা কাদাময় বীজতলা তৈরি করতে হবে ভারি এঁটেল মাটি বীজতলা তৈরি করার জন্য নির্বাচন করতে হবে নির্বাচন করবেন না তৈরির কাজ পরিহার করুন ২৪ ঘন্টা পানিতে ডুবিয়ে রেখে পরে একটি বস্তা বন্দী করে ডাক দিয়ে অংকুর বের হওয়ার পর বীজ বপন করতে হবে দেওয়ার প্রয়োজন নেই অঙ্কুরিত বীজ বপনের পর পরিণত পানি রাখতে হবে
ধান চারা রোপন পদ্ধতি
উপযুক্ত সময়ে পরিমিত বয়সের চারা রোপণ করতে হবে, প্রতিগুচিতে একটি সতেজ চারা রোপণ করা যথেষ্ট প্রয়োজনে দুই তিনটি পর্যন্ত চারা এক গুচিতে রোপণ করা যেতে পারে। মাটির প্রকৃতি ও জাতভেদ সারি থেকে শাড়ির দূরত্ব ২৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার এবং চারা থেকে চারার দূরত্ব ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার হওয়া হলেই ভালো
বোরো ধান উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল ও করনীয় ২০২৪
প্রিয় বন্ধুরা, বোরো ধান উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশল জানার জন্য সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এতে আপনার অনেক উপকার পাশাপাশি কিভাবে উচ্চফলন পাওয়া যায় সেটি জানতে পারবেন তাই দেরি না করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন বোরো ধানের বিভিন্ন জাত রয়েছে এর মধ্যে কিছু ভালো ও পুষ্টি পরিপুষ্ট বীজ নির্বাচন করতে হবে আমাদের দেশে সবাই কৃষিকাজের সাথে জড়িত
এটি আমাদের সংস্কৃতিক বা দেশের গৌরব বহন করে বোরো ধান উৎপাদনের জন্য সঠিক নিয়মে চারার রোপণ সার প্রয়োগ সার পরিমাণ সঠিক সময়ে সেচ দেওয়া ইত্যাদি জানতে হবে এছাড়াও বোরো মৌসুমে আবাদযোগ্য জাতের ধানের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ভাল জাতের বীজ না হলে বোরো ধান উৎপাদনে ফলন ভালো পাওয়া যাবে না
বোরো ধানের রোপনের পর অন্তত ৪০ থেকে ৫০ দিন পর জমি কে আগাছা মুক্ত করতে হবে এবং চার রোপনের পর জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি রাখতে হবে ধানের চারা যেন একবারে পানির তলে ডুবে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে সার প্রয়োগের আগে জমির পানি কমিয়ে নিতে হবে
ধানে সার প্রয়োগের নিয়ম
আবহাওয়া জলবায়ু ও মাটির উর্বরতা যাচাই-বাছাই করে ধানের ক্ষেত ধানের জাত জীবনকাল ও ফলনের উপর ভিত্তি করে স্যারের পরিমাণ ঠিক করা প্রয়োজন স্যারের কার্যকারিতা বাড়ার জন্য কোন স্যার কখন কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে তা ঠিক করা দরকার ইউরিয়া বাদে অন্যান্য সব সার জমি প্রস্তুতির শেষ চাষের পূর্বে ছিটিয়ে দিতে হবে এবং
চাষ দিয়ে মাটির সাথে সার মিশিয়ে দিতে হবে ইউরিয়া সার কয়েক দফার প্রয়োগ করা উচিত হালকা মাটির পটাশ ৪ ২ ভাগ করে দেওয়া ভালো উর্বর জমির ক্ষেত্রে প্রথম কিস্তি এক তৃতীয়াংশ ইউরিয়া সার জমি শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করুন দ্বিতীয় কিস্তি এক থেকে তিন ইউরিয়া সার গোছায় কুচি দেখা দিলে ২০ থেকে ২৫ দিন পর প্রয়োগ করুন ৩য় কিস্তি ১ থেকে ৩ ইউরিয়া স্যার কাইচথড় পাঁচ থেকে সাত দিন পূর্বে প্রয়োগ করুন
মধ্য উর্বর জমির ক্ষেত্রে প্রথম কিস্তি এক তৃতীয়াংশ এক থেকে তিন ইউরিয়া সার চারা রোপনের 15 থেকে 20 দিন পর দ্বিতীয় কিস্তি ১ থেকে ৩ ইউরিয়া সার চারা রোপনের ৩০ থেকে ৩৫ পর তৃতীয় কিস্তি ১ থেকে ৩ ইউরিয়া সার কাইচথড় আসার পূর্বে পাঁচ থেকে সাত দিন
বোরো ধানে রোগ দমনে করণীয় ২০২৪
বোরো ধানে দুই ধরনের রোগ বেশি দেখা যায় একটি হচ্ছে ধানের ব্লাস্ট এবং অন্যটি টুংরো রোগ।ব্লাস্ট রোগ ধানের একটি ছত্রাক জনিত রোগ ক্ষতিকারক রোগ এটি ধানের পাতা গিট এবং নেক বা শীর্ষে আক্রমণ করে থাকে ব্লাস্ট রোগ দমনে করণীয় জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ধরে রাখতে হবে জমির পানি যেন শুকিয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে কারণ শুকনো জমিতে ব্লাস্ট রোগ বেশি দেখা যায়।পাতা ব্লাস্ট রোগে জমিতে বিঘা প্রতি অতিরিক্ত ৫ কেজি পটাশ সার প্রয়োগ করতে হবে এবং ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা যাবে না ধানের শীর্ষে
ব্লাস্ট রোগ হওয়ার পর দমন করার বেশি সুযোগ থাকে না তাই রোগের অনুকূল পরিবেশ যেমন গুড়িগুড়ি বৃষ্টি তিনে গরম রাতে ঠান্ডা শিশির ভেজা দীর্ঘ সকাল মেঘাচ্ছ না আকাশ ঝড় আবহাওয়া ইত্যাদি বিরাজ করলে ধানের জমির রোগ হোক বা না হোক থোড় ফেটে সিস বের হওয়ার সময় ব্লাস্ট রোগ দমনে কীটনাশক বিষ
যেমন টোপার নাটিভ ডাবলিও পি কীটনাশক ব্লাস্ট রোগের দমনে যেগুলো কাজ করে সেগুলো পরামর্শ অনুযায়ী ভালোভাবে পানির সাথে মিশিয়ে বিকালে ধানের শীষের উপর প্রয়োগ করতে হবে এবং অবশ্যই মনে রাখতে হবে রোগ দমনের জন্য রোগ হওয়ার আগে কীটনাশক প্রয়োগ করা প্রয়োজন তোমরা একটি ধানের ভাইরাসজনিত ক্ষতিকারক রূপ যা সবুজ পাতা
পাতা ফড়িং এর মাধ্যমে ছড়ায় এ রোগ ১০০ পার্সেন্ট পর্যন্ত ফসল নষ্ট করতে পারে টুমরো রোগ দমন করার পদ্ধতি হচ্ছে নিয়মিত বীজতলা এবং বীজ পরিদর্শন করে পোকার উপস্থিতি থাকলে হাতজাল সাহায্যে অথবা আলোকপাত ব্যবহার করে তা মেরে ফেলতে হবে চারা রোপণ পর জমিতে দু একটি আক্রান্ত গাছ থাকলে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে এবং জমিতে বাহক পোকার উপস্থিতি থাকলে সাথে সাথে কীটনাশক যেমন মিপসিন ১৫০ গ্রাম অথবা সেবিন ২২৭ গ্রাম ৬৭ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে
বোরো ধান কাটার সময় ও সংরক্ষণ ২০২৪
জমিতে ধান পাকলে দেরি না করে অল্প সময়ে ধান কেটে ফেলা উচিত শীষের অর্ঘ্যভাগের শতকরা আসি ভাগ ধান চাল এবং শীষের নিচের অংশ শতকরা বিশ ভাগ ধানের চাল আসিংক শক্ত ও অস্বছ ধান থাকলে ধান ঠিকমত পেকেছে বলে বিবেচিত হবে অনেক ফসল সঠিক সময় না কাটার ফলে ফসল জমিতে নষ্ট হয়ে যায় অনেক ধানের বীজ জমিতে পড়ে যায় জমিতে ধান মাড়ায় ভালোভাবে সম্পন্ন করতে হবে এবং এরপর ধানের মধ্যে থাকা চিটা ময়লা আবর্জনা গুলো পরিষ্কার করতে হবে এবং ধান মাড়ায় এরপর ভালোভাবে পরিষ্কার করে তিন চারবার রৌদ্রে শুকিয়ে গোলজাত বা সংরক্ষণ করতে হবে
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক ধান চাষ আমাদের দেশের প্রধান কাজ কৃষিকাজ তা এটি আমাদের সংস্কৃতিক এর রূপ বহন করে আশা করছি আপনি যে বিষয় নিয়ে জানতে চাচ্ছিলেন এবং সমস্ত আলোচনা পড়ে আপনার কাঙ্খিত উত্তর পেয়েছেন। প্রিয় বন্ধুরা আপনার যদি আটিকেল পছন্দ বা ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই রাজশাহী ব্লককে ফলো এবং শেয়ার দিয়ে পাশে থাকবেন ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url