বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত
প্রিয় পাঠক বাত ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না তো সমস্যা নাই আজকে আমরা আটিকেলের মাধ্যমে আপনার সমস্ত সঠিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব এবং বাতের ব্যথার গাছ বিস্তারিত জানার জন্য মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
পুষ্টির অভাবে মূলত বাত ব্যথার সৃষ্টি হয় যার ফলে অনেকের হাড় মজবুত হয় না এবং হাড় ক্ষয় তাড়াতাড়ি হয়ে যায় বাতের ব্যথার সম্পর্কে নিচে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই সম্পর্কে জানার জন্য নিচে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন
ভূমিকা
বাত ব্যথা একটি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মধ্যে পড়ে এর উক্তি আমাদের শরীরের হাড়ের অতিরিক্ত ক্ষয় রোধ করে এবং হাড়কে দুর্বল করে এবং বাতের ব্যথা হলে হাত আগুল এবং হাড়ের জোড়া শক্ত হয়ে যাওয়া চলাফেরা হটাতে অনেকে অসুবিধা হয় হাড়ের গিরা বিকৃতি হয়ে যায় পেঁচির মধ্যে অনেক দুর্বলতা বা ক্লান্তি অনুভব করা
এবং শরীরের মধ্যে হালকা জ্বর দেখা দিবে বাতের ব্যথা যে কোন বয়সের মানুষের মধ্যে দেখা যেতে পারে অনেক আগে গবেষকরা মনে করতেন এটি ৫০ বছরের মানুষের ক্ষেত্রেই হয় তবে এখন মানুষের সঠিক জীবন যাপন চলাফেরা না করার জন্য এই রোগ অনেক প্রভাব ফেলছে তাই তাড়াতাড়ি সম্পুন আটিকেলটি পড়ুন আর জেনে নিন
বাতের ব্যথার গাছ
আকন্দ গাছকে বাত ব্যথার প্রাকৃতিক ওষুধ বা মহা ওষুধ বলা হয়ে থাকে এই গাছটির প্রাচীনকাল থেকে হিমালয় অঞ্চলের বেশ দেখা যায় বিশেষ করে নেপাল আসাম বিভাগ এইসব হিমালয় এবং সমতল উঁচু জায়গাতেই এই আকন্দ গাছের বেশি জন্ম হয়, আকন্দের অর্থ মান্দার বিভিন্ন দেশে আকন্দ গাছকে বিভিন্ন ভাষায় নামে ডাকা হয়ে থাকে
আকন্দ গাছ দুই ধরনের হয় একটি গাছ সাদা এবং অন্যটি লাল আকন্দ গাছ সাত থেকে আট ফুট উচ্চতার হয়। এই গাছের শাখা প্রশাখা গাছের চারিদিকে হেলে থাকে গাছটির পাতা কান্ড ফুল ও ফল ভারি হয়ে থাকে লাল আকুন্দ সাদা আকুন্দ থেকে ভিন্ন থাকলেও সাদা আকন্দের ব্যবহার একটু বেশি হয় এছাড়াও পাতার রং সবুজ হয় আকুন্দ গাছ ওজন কমানোর জন্য ঘুম না হওয়া শরীরে পানি জমা ব্রণ অথবা চুলকানিতে দাঁতের মাড়ি ক্ষেত্রে অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে
কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে
বাতের ব্যথার জন্য বিভিন্ন মসলা যেমন আদা দারুচিনি রসুন এ নিয়মিত খেলে বাথের ব্যাথা অনেকটা কমতে সাহায্য করে। এবং কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো বাতের ব্যথা না কমিয়ে হাতের ব্যথা বাড়াতে একটা সাহায্য করে তাই আসুন আজকে জেনে নেই এসব খাবার বাতের ব্যথা বাড়াতে পারে ডিমের কুসুম যা বাতের ব্যথা বাড়াতে পারে এবং অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার যা ব্যথা বাড়াতে সাহায্য করে
টক জাতীয় খাবার যেমন টমেটো লেবু আমরা জাতীয় ফল খাওয়া যাবে না এগুলো ব্যথার বেদনা বাড়াতে সাহায্য করে এবং বাতের ব্যথা সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন মদ্যপান অ্যালকোহল করা থেকে বিরত থাকুন এগুলো রোগের ঝুঁকি বাড়াতে সাহায্য করে যেসব খাবার খাবেন দুধ ছোট মাছ এগুলো বেশি বেশি খাবেন
এতে শরীরের ক্যালসিয়াম ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হতে সহায়তা করবে এবং বিভিন্ন মসলা যেমন আদা রসুন দারচিনি নিয়মিত খাবেন। সাথে পালং শাক প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে এতে প্রচুর পরিমাণে এন্টি এক্সিডেন্ট রয়েছে এটি বাতেরম ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে এবং বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ যেমন সেমন ম্যাকেরেল এইগুলো বাতের ব্যাথা জন্য বেশ কার্যকরী
বাতের ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা
বাতের ব্যথা শীতকালীন সময় বেশ প্রভাব দেখা যায় এই সময় বাতের ব্যথার রোগী অনেকটা ঝুঁকি সম্পূর্ণ মুখে থাকে। বাত ব্যথার চিকিৎসার জন্য ঘরোয়া চিকিৎসা কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা সম্ভব দিয়ে ব্যথা স্থানে প্রদাহ দিলে ব্যথা কিছুটা কমার সম্ভাবনা থাকে এবং আকন্দ গাছের পাতা দিয়ে হালকা গরম ব্যাথা স্থানে মালিশ করলে ব্যথা
কিছুটা কমার সম্ভাবনা থাকে এবং ব্যথায় স্থানে গরম সেঁক দিলে হাত পায়ের শিরা গুলো এবং রক্ত চলাচল ভালো হয় এই সময় রোগীকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে দিন এবং ব্যাথা থাকা অবস্থায় হাঁটা বা চলাফেরার জন্য লাকি ব্যবহার করুন আর ব্যথা বেশি অনুভূতি হলে অবশ্যই তাড়াতাড়ি ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন
বাতের ব্যথার হোমিওপ্যাথি ওষুধ
আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে মানুষ হোমিওপ্যাথিক ওষুধের উপর বিশ্বাসী বা আস্থা রাখে প্রায় প্রতিবছর অনেক মানুষ শিশু হোমিওপ্যাথিক ওষুধ দ্বারা সুস্থ হয়ে থাকেন। এবং ব্যথা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার জন্য হোমিওপ্যাথিক ওষুধ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে বাত ব্যথার রোগীদের ক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যায়াম করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম ধূমপান মধ্যপানে এড়িয়ে চলা এসব বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে হোমিওপ্যাথিক যেমন ব্যথা ছাড়তে অনেকটা সাহায্য করে তেমনি হোমিওপ্যাথিক ওষুধের সুবিধা কিছু অসুবিধা আছে।হোমিওপ্যাথিক একটি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং কার্যকরী চিকিৎসা এটির কোন পার্থ প্রতিক্রিয়া নেই এটি একটি প্রাকৃতিক চিকিৎসা বা
প্রাকৃতিক উপাদান এই চিকিৎসাটি ব্যক্তিগত ভাবে প্রদান করা হয়ে থাকে হোমিওপ্যাথি ওষুধের অসুবিধা গুলো হচ্ছে এটি অনেক ব্যয়বহুল্য হতে পারে হোমিওপ্যাথি ওষুধ এর কার্যকারিতা গবেষণা ভাবে প্রমাণিত এখনো হয়নি এটি একটি ব্যক্তিগত চিকিৎসা পদ্ধতি, তাই সঠিক চিকিৎসা অবলম্বনের জন্য পরামর্শ গ্রহণ করুন চিকিৎসকের হোমিওপ্যাথিক ওষুধ গুলো কোন সাধারণ ডাক্তারের থেকে না নিয়ে একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের থেকে ওষুধ গ্রহণ করুন
বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত
আমাদের দেশে অনেক গাছপালা রয়েছে অনেক প্রাকৃতিক ভাবে ওষুধ রয়েছে যা আমরা অনেকেই চিনি না তবে আয়ুর্বেদিকের প্রাকৃতিক গুণ রয়েছে আয়ুর্বেদিক এগুলো সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ওষুধ ব্যবহার করলে অনেকটা সুস্থ বোধ করতে পারেন ওষুধের নাম গুলো হল শালকি হরিদ্রা শুথি আদা অশ্বগন্ধা নির্গুন্ড রসনা এইগুলো
আমাদের শরীরের হাঁটুর ব্যথার জন্য প্রাকৃতিক ওষুধ এবং প্রাকৃতিক ব্যথার তেল হিসেবেও ব্যবহৃত আয়ুর্বেদিক ওষুধ সম্পূর্ণ নিরামিষ হয়ে থাকে কোমর ব্যথায় মালিশ করলে দ্রুত এর প্রতিকার পাওয়া যায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আয়ুবেদিক ওষুধ সম্পূর্ণ নিরাপদ
বাতের ব্যথার ব্যায়াম
শীতকালে আমাদের দেহের হাড় এবং রক্ত চলাচল অনেকটা কষ্টকর হয়ে যায়। এই সময় নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ প্রতিকার পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে বাত ব্যথা। বাথ ব্যথার ক্ষেত্রে ব্যায়ামের গুরুত্ব অপরিসীম বাত ব্যথার জন্য কয়েক ধরনের ব্যায়ামের ধরন রয়েছে হাফ স্কোয়ারট লেগরেজ
পুস আপস মাটির দিকে শুয়ে মুখ করে হাতের আঙ্গুলের উপর ভর দিয়ে সমান্তরাল হবে নিজের শরীরটাকে তুলে ধরুন এভাবে দশ পনেরো বার উঠানামা করুন এই সময় এই সময় কনুই ভাঁজ একবার মাটির কাছাকাছি এবং কোনো সোজা করে মাটির থেকে দূরে নিয়ে যায় প্রথমত অসুবিধা হলে আস্তে আস্তে শিখে যাবেন। এইভাবে পুস আপস করতে হবে ।
লেগরেজ করার জন্য টানটান হয়ে দুই হাতের তালুর নিজের উপর রাখুন তার এরপর বাম পা ধীরে ধীরে উপরে তুলুন এভাবে মাটি থেকে অন্তত ৪৫ ডিগ্রি কোণে ৫ সেকেন্ড তুলে রাখুন এরপর আস্তে আস্তে নামিয়ে নিন এইভাবে কয়েকবার ওঠা নামা করুন
হাফ স্কোয়াট ব্য্যাম করার জন্য দাঁড়িয়ে সামনের দুটি হাত উপর দিকে তুলেন চাইলে হাত মুঠ রাখতে পারেন এভাবে আস্তে আস্তে অল্প বসার চেষ্টা করুন তবে পুরোপুরি বসে পড়বেন না অর্ধেক বসার ভঙ্গিয়ে রেখেই এভাবে অন্তত ১৫ থেকে ২০ বার উপরে নিচে হয়ে ব্যায়াম করুন ।
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি যে বিষয় নিয়ে খোঁচাখুজি করছিলেন এবং সমস্ত আলোচনা পড়ে আপনার কাঙ্খিত উত্তর পেয়েছেন বাত ব্যথার বিভিন্ন ভালো এবং অসুবিধা দিক রয়েছে এর চিকিৎসার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের নিকট শরণাপন্ন হন এবং এই আর্টিকেল যদি আপনার পছন্দ ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই রাজশাহী ব্লক কে ফলো এবং শেয়ার দিয়ে পাশে থাকবেন ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url