রক্তদানের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
প্রিয় পাঠক রক্তদানের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন তারপরও সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না তো সমস্যা নাই আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব এবং রক্তদানের ১০ টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
রক্তদানের বিভিন্ন গুণ এবং ক্ষতি দিক রয়েছে সঠিক নিয়মে রক্তদান এবং কখন রক্তদান দিবেন এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে, নিচে আরো বেশ কিছু গুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে
ভূমিকা
মানবদেহে শরীরে তিন ধরনের রক্তের কণিকা রয়েছে লোহিত রক্তকণিকা শ্বেত রক্তকণিকা এবং অনুচক্রিকা লোহিত কণিকার গড় আয়ু ১২০ দিন এটি শরীরের লোহিত কণিকার গড় আয়ু ১২০ দিন এটি শরীরের শ্বেত করে মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এটি দেহের সুরক্ষা হিসেবে কাজ করে এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন সংক্রমণ রোগ থেকে মুক্ত রাখে শ্বেত রক্ত কণিকার গড়ায় হচ্ছে ৩ থেকে চার দিন।
শ্বেত কণিকার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি বিভিন্ন ধরনের লিউকোসাইট অনুচক্রিকা আমাদের দেহের ক্ষতস্থান রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সাহায্য করে রক্ত কণিকার গড়ায় হচ্ছে 8 থেকে 12 দিন অনুরচক্রিকা একটি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের শরীরে সাড়ে ৪ লাখ থাকে অনুচক্রিকা একটি নিউক্লিয়াস বিহীন গোলাকার ডিম্বাকার বর্ণহীন সাইটোপ্লাজমিউম চাকরি বিশিষ্ট ক্ষুদ্র এবং অনিয়মিত একটি কোষ
১ ব্যাগ রক্ত কত মিলি
একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের শরীরে প্রায় পাঁচ থেকে ৬ লিটার রক্ত থাকে এক ব্যাগ রক্ত একটি শরীরের মোট রক্তের দুই থেকে তিন শতাংশ মাত্র এবং এই রক্ত কোন কাউকে দান করলে শরীরের কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই আর এক ব্যাগ রক্তের মিলিমিটার সমপরিমাণ হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ মিলিমিটার
রক্ত দানের গুরুত্ব
কোথায় আছে মানুষ মানুষের জন্য একটি মানুষের দায়িত্ব আরেকটি মানুষের পাশে থেকে সাহায্য করা যা আমাদের দেশের অনেকেই করে থাকে এবং অনেকেই সঠিক রক্তদান সম্পর্কে জানেনা বিধায় এবং রক্তের দানের গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত না থাকায় রক্ত দিতে বা দান করতে অনেক ভয় পেয়ে থাকে তাই আজকে জানুন নিয়মিত রক্তদান করলে
আমাদের শরীরের হৃদরোগ এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায় এবং গবেষণায় দেখা যায় বছরে যারা দুইবার রক্তদান করে থাকে তাদের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা এবং ঝুঁকি অনেকটা কম এবং শরীরের রোগ যেমন ফুসফুস লিভার কোলন পাকস্থলী গলার ক্যান্সার ইত্যাদি রক্তদানের ফলে এই রোগ গুলো হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় রক্তদান একটি মানবসেবা কাজ
রক্ত দানের পর কি কি খেতে হয়
রক্তদানের পর অনেকেই শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য তারা মনে করেন ব্যায়াম করা প্রয়োজন তবে এটি রক্তে দানের পর একদম করা যাবেনা রক্তদানের পর দুই গ্লাস পানি ও ফলমূলের জুস খেলে এই শূন্যতা পূরণ হয় এর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে নিয়মিত পানি এবং ফলমূলের জুস নিয়মিত ঘুম এবং মুরগির
কলিজা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যুক্ত শাকসবজি এবং পুষ্টি উপাদান খাবার খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন এ সময় প্রোটিন এবং শর্করা জাতীয় খাবার খেতে হবে ধূমপান ও মধ্যপান একদম করা যাবেনা নিজের শরীরকে বিশ্রামে রাখতে হবে
রক্ত দানের পর করনীয়
রক্তদানের পর পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে রক্তদানের পর ফলমূলের জুস অথবা প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে সেই সঙ্গে নিয়মিত আট ঘন্টা ঘুম এবং খাবারে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন শাকসবজি খাবার নিয়মিত খেতে হবে যেমন ডিম দুধ কচু পালং শাক খেতে হবে
এবং যেদিন রক্ত দান করবেন সেদিন কোনো ভারী কাজ বা ভারী জিনিস তুলবেন না এবং রক্ত দেওয়ার পর মাথা ঘোরা বা শারীরিক কোন অসস্তি অনুভব করলে কিছুক্ষণ বসে অথবা শুয়ে থাকুন যতক্ষণ না নিজের শরীরে স্বস্তি অনুভব করছেন
রক্তদানের ১০টি উপকারিতা
নিয়মিত রক্তদানের ক্ষেত্রে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে যে রোগগুলো হল ডায়াবেটিস হার্টের রোগ উচ্চ রক্তচাপ ম্যালেরিয়া এইচআইভি সিফিলিস হেপাটাইটিস শরীরে আয়রনের ঘাটতি প্রভৃত রোগ ক্যান্সার রোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায় রক্তদান আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং
রক্তে নতুন রক্ত কণিকার জন্ম হয় আরতি বরণ হয় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায় বিভিন্ন ধরনের রোগ কমে যায় রক্তদান ধর্মীয় অনুযায়ী মহান কাজ রক্তদান নিজের অর্থ সাশ্রয় হয় এবং স্থল দহি মানুষের জন্য রক্ত দান অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ওজন কমানোর জন্য
রক্তের গ্রুপ কয়টি
রক্তের উপাদান বৈশিষ্ট্যকে বিভিন্ন প্রকার শ্রেণীতে ভাগ করেছেন বিজ্ঞানীরা এবং এই শ্রেণীবিন্যাসকে ব্লাড গ্রুপ বলা হয়ে থাকে এবং এই শ্রেণি বিন্যাসকে সংক্ষেপে এ বি ও ব্লাড গ্রুপ বলা হয়ে থাকে সাধারণত মানুষের শরীরে জন্য রক্তের গ্রুপ ৮ ধরনের হয়ে থাকে মানুষের শরীরে A+ ,A-,B+,B-,AB+,O+,O- রক্তে গ্রুপ হয়
রক্তদানের উপকারিতা ও অপকারিতা
রক্তদান হচ্ছে এমন একটি কাজ যা মানুষকে বাঁচানোর ক্ষেত্রে অবদান রাখা আমাদের রক্তদানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একজন মানুষ হয়ে আরেকজন মানুষের জীবন বাঁচানো এ রক্তদান আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় রক্তদানের ক্ষেত্রে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী নিয়মিত রক্তদান করলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার হয়
রক্তদান করলে রক্তচাপ রক্তের শর্করা মাত্রা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং রক্তদান একটি সমাজ সেবামূলক কাজ বিভিন্ন দেশে স্বেচ্ছায় অনেকের রক্তদান দিয়েছেন করে থাকেন উন্নত দেশগুলোতে এসব বেশি দেখা যায় যারা রক্তদানের উপকারিতা বিষয়ে অবগত তারা রক্তদানের ক্ষেত্রে পিছপা হন না। এবং আমাদের শরীরের মূল অংশ হচ্ছে একটি যা রক্ত
আমাদের শরীর রক্তে মাংসে গড়া উন্নত দেশগুলোতে বিভিন্ন ধরনের রক্তদানের সংস্থা রয়েছে যেখানে অনেক তরুণ তরুণীরা স্বেচ্ছায় অসুস্থ রোগীদের জন্য রক্ত দান করতে এগিয়ে আসেন সাধারণত ভাবে ১৮ বছর বয়স থেকে একটি পূর্ণ বয়স্ক মানুষ নারী এবং পুরুষ উভয় রক্ত দেয় দান করতে পারবে শরীরের ওজন কমানোর জন্য হলে রক্ত দান করা প্রয়োজন রক্তদানের ক্ষেত্রে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক রাজশাহী ব্লগে আপনাকে স্বাগতম আশা করছি আপনি যে বিষয় নিয়ে খোঁজা করছি করছিলেন এবং সমস্ত আলোচনা পড়ে আপনার কাঙ্খিত উত্তর পেয়েছেন আপনার যদি এই আর্টিকেল পছন্দ বা ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজন সবাইকে এ বিষয়ে যা নিয়ে পড়ার আমন্ত্রণ জানাবেন এবং সেই সাথে আমাদের রাজশাহী ব্লক কে ফলো এবং শেয়ার দিয়ে পাশে থাকবেন ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url