ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা প্রতিরোধ উপায় করণীয় কি
প্রিয় পাঠক ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা প্রতিরোধ উপায় করণীয় কি সম্পর্কে হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন তারপরও সঠিক তথ্য পাননি। তো সমস্যা নাই চলুন আজকে আমরা আপনার এই আর্টিকেলটি মাধ্যমে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য প্রস্তুত এবং পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা শব্দ দুটি আলাদা হলেও এর অর্থ কিন্তু একটি তবে চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে পায়খানা নরম বা পাতলা হলে মানে এই নয় যে আপনার ডায়রিয়া হয়েছে এমনটি কিন্তু নয় সারাদিনে অন্তত তিনবার বা তার বেশি নরম বা পাতলা পায়খানা হলে তাকে সাধারণত ডায়রিয়া বলা হয়ে থাকে এবং নিচে সকল পাতলা পায়খানা ট্যাবলেট এর নাম দেওয়া আছে ।
এখানে আমরা ডায়রিয়া বিষয়ে আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি যা নিচে দেওয়া আছে
ভুমিকা
আমাদের শরীরের পেটের ভিতর বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু ঢোকার কারণে পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে এটি সাধারণত কয়েক দিনের মাঝেই সেরে যায় তবে যদি মানব শরীরের পানি শূন্যতা থাকে তাহলে ডায়রিয়া মারাত্মকরুপ ধারন করে বাসি খাবার খেলেও পাতলা পায়খানা ঘন ঘন হতে পারে বিভিন্ন ধরনের ভাজাপোড়া খাবার খেলেও পাতলা পায়খানা হতে পারে এবং শীতকালীন সময়ে মানব
শরীরের মধ্যে যদি না লেগে যায় এই ঠান্ডা লাগার কারণবশতেও পাতলা পায়খানা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং ছোট শিশু বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যারা বুকের দুধ পান করে তাদের পায়খানা স্বাভাবিকভাবেই অনেকটা নরম এবং কাঁঠাল হয়ে থাকে সেটি কিন্তু ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা নয়। রূপ নেয় এবং মৃত্যুর কারণও হতে পারে ডায়রিয়া তৈলাক্ত খাবার খাওয়া যাবে না
পাতলা পায়খানা হলে কি ঔষধ খেতে হবে
পাতলা পায়খানা হলে ওষুধের সাথে পুষ্টিকর গুণসম্পন্ন খাবার খেতে হবে পুষ্টিহেনতা থেকে ডায়রিয়ার সৃষ্টি হয়ে থাকে এই ডায়রিয়ার কারণে আমাদের শরীর থেকে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান বের হয়ে যায় তাই ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে ডায়রিয়া সাধারণত ৫/৬ দিনের মাধ্যমে বন্ধ হয়ে থাকে তবে যদি ডায়রিয়া পানি শূন্যতার কারণে বন্ধ না হয় তাহলে ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে কিছুটা নিরাময় করা সম্ভব। নিচে ওষুধগুলোর নাম দেওয়া হলো
খাবার স্যালাইন
চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে পাতলা পায়খানা একবার হওয়ার পর পর এক প্যাকেট বা আধা লিটার পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ার উপদেশ দিয়ে থাকে এবং খাবার স্যালাইন ঘরে না থাকলে ভাতের মারে সামান্য লবণ দিয়ে খেতে পারেন। এবং বমি বমি ভাব হলে ছোট ছোট চুমুকে খাওয়ার চেষ্টা করবেন এছাড়াও পানি ডাবের পানি খাওয়া যেতে পারে
জিং ট্যাবলেট
জিং ট্যাবলেট এমন একটি ওষুধ যা পাতলা পায়খানা হওয়ার সময় চারভাগের এক ভাগ কমিয়ে আনতে পারে গবেষণায় দেখা যায় এটি ডাক্তার বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী 10 থেকে 12 দিন 20 মিলিগ্রাম ট্যাবলেট বা সিরাপ খেলে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা থাকে
প্যারাসিটামল
ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হওয়ার সময় পেটে খারাপ বা অস্বস্তি অনুভব করলে প্যারাসিটামল খাওয়ায় খাওয়া যায় এবং শিশুকে ওষুধ দেওয়ার আগে অবশ্যই ওষুধের সাথে থাকা নির্দেশনা গুলো দেখে নিবেন এবং সঠিক পরিমাণে বাচ্চাকে ওষুধ খাওয়াবেন। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিবেন
লোকেরা মাইন্ড বা জাতীয় ওষুধ
চিকিৎসকরা জরুরী প্রয়োজনে কিছু ঘন্টার জন্য পায়খানা বন্ধ হওয়ার যৌন ওষুধ দিয়ে থাকেন বা এ ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে তবে অবশ্যই এই ওষুধটি খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন বিশেষ করে 12 বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না ক্ষতি হতে পারে
ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা প্রতিরোধ উপায় করণীয় কি
ডায়রিয়া রোগীকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে দিন এটি রোগীকে সুস্থ হতে অনেকটা সাহায্য করবে এবং ডায়রিয়া বিস্তার করতে বারবার সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোন পায়খানা কিংবা বমির সংস্পর্শে যে কাপড় গুলো রয়েছে সেগুলো আলাদাভাবে ধুয়ে ফেলবেন এবং জীবাণু যাতে না আসতে পারে সেজন্য
নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন এবং আপনার জামা কাপড় অন্য কারোর সাথে ভাগাভাগি করবেন না এবং এবং ডায়রিয়া চিকিৎসার জন্য দ্রুত ডাক্তারের কাছে পরামর্শ বা ওষুধ নিতে যাবেন সেই সাথে পানি বেশি বেশি পান করবেন এবং আদা বেটেও কিছুটা লবনের সাথে মিশিয়ে খেতে পারবে এতে পাতলা পায়খানা কমার সম্ভাবনা থাকে সেই সাথে স্যালাইন খাবেন
পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না
ডায়রিয়া হলে যে ভালো খাবার খেলে ঠিক হয়ে যাবে এমন কোন কথা নেই প্রাচীনকাল থেকে প্রচলিত আছে যে ডায়রিয়া রোগীরা ভাত এবং কাঁচা কলা ছাড়া আর কিছুই খেতে পারবেন না এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল ডায়রিয়া হলে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন পুষ্টিকর গুণসম্পন্ন খাবার এই খেতে পারবেন সব ধরনের তবে সাবধান
থাকবেন ডায়রিয়ার সময় বাজার থেকে কেনা ফলের জুস কমল পানীয় কফি চিনি চা ইত্যাদি না খেলে আপনার জন্য শরীরের জন্য ভালো হবে এ ধরনের ভাজাপোড়া তৈলাক্ত খাবার খেলে ডায়রিয়া আরো খারাপ দিকে যেতে পারে
পাতলা পায়খানার ট্যাবলেট এর নাম
- জিং ট্যাবলেট
- লোকেরা মাইন্ড বা জাতীয় ওষুধ
- সিপ্রোসিন ৫০০ মিলিগ্রাম প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য
- সিপ্রোসিন ২৫০ বাচ্চাদের জন্য
- ফিলমেট 400 মিলিগ্রাম বাচ্চাদের সেবনযোগ্য নয়
- এবং ওর স্যালাইন
- Metro 400
- Flagyl 400
- Zox tablet
- metryl Amodis
- Aprocin 500
- Flontin 500
কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়
কাঁচা আদা এবং প্রচুর পরিমাণে খাওয়ার স্যালাইন এবং পুষ্টিকর খাবার খাবেন এতে পায়খানা বন্ধ হয় থাকে সেই সাথে এক চামচ সরিষা সাথে চার চামচ পানি মিশানো সেটিকে এক ঘন্টা রেখে দিয়ে ওই পানি পান করতে পারেন এতে কিছুটা আরাম পেতে পারেন লেবুর জল এটিও পাতলা পায়খানা থেকে মুক্তি হওয়ার উপায়
আমাদের শরীরের পেটের ভিতরের জীবাণু ব্যাকটেরিয়া পেট পরিষ্কার করার জন্য লেবু অনেক টা কার্যকরী সেই সাথে ডালিম বীজ খেলে পায়খানা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং মধু খেতে পারেন এটিও ডায়রিয়া প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে পরিচিত যা আমাদের স্বাস্থ্যের এবং পায়খানা বন্ধের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী কাঁচাকলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেক চিকিৎসক
পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাওয়া যাবে
ডায়রিয়া হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে আমাদের পেটে নানান জীবাণু ঢুকে পড়া বা শরীরের পানি ও লবণের ঘাটতি এজন্য আমাদের প্রচুর পরিমাণে খাবার স্যালাইন তরল পানিও এবং পুষ্টিকর গুন সম্পন্ন খাবার খেতে হবে যা আমাদের শরীরের শক্তি যোগান দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে শাক সবজি প্রচুর পরিমানে খেতে হবে যা দেহের ঘাটতি পুরন করবে কলা ,ডালিম বীজ ,লেবু,আদা ,এবং পুষ্টিকর খাবার
জ্বর ও পাতলা পায়খানা হলে করণীয়
বড়দের ডায়রিয়া হলে করণীয় কি ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হওয়ার সময় আমাদের শরীর থেকে অনেক ক্যালসিয়াম বা ক্যালোরি ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান বের হয়ে থাকে এজন্য শরীর দুর্বল হয়ে যায় আর শরীরের পানি শূন্যতা দেখা দেয় এই সময় আমাদের দিনে আট থেকে দশ গ্লাস তরল খেতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে
প্রতিবার টয়লেটে যাওয়ার পর এক কাপ করে তরল খাবার খেতে হবে এবং কলা আলু ডাবের পানি খাওয়া যেতে পারে শরীরে পায়খানা বের হওয়ার সময় যদি রক্ত সাথে মিশে বের হওয়া এবং প্রসাবের পরিমাণ কমে গেলে পানি পিপাসা বেশি লাগবে মুখ শুকিয়ে বা শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়লে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হবে হবেন
লেখকের মন্তব্য প্রিয়
পাঠক রাজশাহী ব্লগ কে স্বাগতম আপনি যে বিষয় নিয়ে খোঁজাখুঁজি করছিলেন আশা করছি আপনি সমস্ত আলোচনা পড়ে আপনার কাঙ্খিত উত্তর পেয়ে গেছেন। আপনার যদি এই আর্টিকেল বা পছন্দ বা ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজন সবাইকে এর বিষয়ে জানিয়ে অবগত করুন এবং রাজশাহী ব্লক কে ফলো এবং শেয়ার দিয়ে পাশে থাকবেন ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url