গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো কখন দেখা দেয় জানুন
প্রিয় পাঠক গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো কখন দেখা দেয় জানুন সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু তারপর ও সঠিক তথ্য পাছেন না তো সমস্যা নাই আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনার সমস্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত প্রেগনেন্সি টেস্ট করার মেশিনের নাম এবং উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়ুন
অনেকেই গর্ভবতীর বিষয়ে সঠিক তথ্য না জানায় অনেক দুশ্চিন্তায় থাকেন তাই গর্ভবতী নারীর গর্ভকালীন সময়ে কি করা উচিত সেই সম্পর্কে বিস্তারিত এবং সঠিক নিয়ম জানতে হবে এখানে আমরা আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি যা নিচে দেওয়া আছে।
ভূমিকা
প্রায় গোটা বিশ্বেই অনেকেই মাসিক না হওয়ার না হলে মনে করেন তারা গর্ভবতী এর মূল কারণ হচ্ছে তাদের গর্ভধারণের বিষয়ে সঠিক তথ্য না জানা মূলত গর্ভধারণের আগেই মেয়েদের শরীরে কয়েকটি লক্ষণ ফুটে ওঠে কোন মাসে পিরিয়ড না হলেই অনেক বিবাহিত মহিলা তারা মনে করেন প্রেগনেন্সি হয়েছেন তবে পিরিয়ডের একমাত্র লক্ষণ তা কিন্তু নয় এবং পিরিয়ড নিয়মিত হওয়ার ফলেও অনেক মহিলা কিন্তু গর্ভবতী হয়েছে তাই নিশ্চিত না হয়ে কোন পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক না
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো কখন দেখা দেয়
সাধারণত ভাবে পিরিয়ড মিস হওয়ার প্রথম সপ্তাহে প্রায় ৮০% শতাংশ মহিলারা বমি সমস্যায় ভুগে থাকেন বা প্রেগনেন্সি হওয়ার ইঙ্গিত পান আবার অন্যান্য এবং কিছু মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় ছয় সপ্তাহ তারপর বমি বমি ভাব আসে এটি মেয়েদের শারীরিক দুর্বলতা বা ক্যালসিয়ামের অভাব থাকায় এমনটি হয়ে থাকে এই সময় নারীদের স্তন ফুলে যাওয়া ভারী হওয়া ইত্যাদি
গর্ভধারণের লক্ষণ হয়ে থাকে এবং গর্ভধারণের প্রায় একমাস পরে সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে এ সময় মহিলারা অস্বস্তি অনুভব করেন এবং এসটোজেন ও প্রোজেস্টনোরের স্তর বৃদ্ধির পায় যার ফলে সকালে মেয়েদের গলায় বমি বমি ভাব থাকে তবে সকালে যে বমি হবে তার কোন মানে নেই যে কোন সময় হতে পারে এবং দিনে একাধিকবার হতে পারে এতে চিন্তার কোন বিষয় নেই এসবের সঙ্গে এমন কিছু মিল পেলে প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করিয়ে নিবেন
মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়
পিরিয়ড মিশর ফলে অনেকেই দুশ্চিন্তা বা অনেক তাড়াহুড়োই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকেন তবে এটি নিশ্চিত না হয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা ঠিক নয় অন্তত পিরিয়ড মিশর পর এক সপ্তাহ অপেক্ষা করুন। বা তারপর পরীক্ষা করুন ,কারণ তাড়াতাড়ি বা পিরিয়ড মিস কয়েক দিন পর পরীক্ষা করলে অনেক সময় ভুল রিপোর্টও আসতে পারে তাই আপনার উচিত পিরিয়ডের শেষ দিন থেকে হিসাব করে ৩০-৪০ দিন অপেক্ষা করার পর টেস্ট করুন
পিরিয়ড মিস না হলে কি গর্ভবতী হয়
চিকিৎসকরা মনে করেন পিরিয়ড মাসিক না হওয়া যে গর্ভধারণের একমাত্র কারণ তা কিন্তু নয় অনেক সময় দেখা যায় পিরিয়ড না হওয়া সত্ত্বেও অনেক মহিলা গর্ভবতী হয়েছেন আপনি যদি প্রেগনেন্ট হওয়ার জন্য চেষ্টা করে থাকেন তাহলে অবশ্যই মাসিক বন্ধ হওয়া এটি গর্ভধারণের একটি ইঙ্গিত বা লক্ষ্য হিসেবে ধরতে পারেন তবে
বিবাহিত এবং প্রেগনেন্সি হওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি মূল লক্ষণও হতে পারে অনেক সময় অনেকে প্রেগনেন্সি পিরিয়ড নিয়ে অনেক চিন্তায় থাকেন এটি কিন্তু শরীরের মনোপজের ইত্যাদির জন্য পিরিয়ড মিস হতে পারে
প্রেগনেন্সি টেস্ট করার মেশিনের নাম এবং উপায়
প্রেগনেন্সি টেস্ট করার কিট বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন দামের হয়ে থাকে এই কীট গুলো সাধারণত অনেক সময় সঠিক তথ্য প্রদান করে থাকেন এবং সেই সাথে অনেক কিট গুলো অনেকদিন দোকানে থাকার ফলে নষ্ট হয়ে যায় যার ফলে মাঝে মাঝে কীট গুলো অনেক নেগেটিভ বা ভুল তথ্য দিতে পারে এতে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন কারণ নেই সঠিক সময় এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অনেকগুলো কিট দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার মাধ্যমে সঠিক তথ্য অবশ্যই পাবেন
- Good news price 55 taka
- I can 250 to 300 taka
- Fidum Freedom 75 to 85 taka
- Fast Response 2800 taka
- Mon Digital 56 taka
প্রেগনেন্সি টেস্ট করার জন্য মিলন বা সহবাসের পর 30 থেকে 40 দিন অপেক্ষা করার পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করুন এতে সঠিক ফলাফল পাবেন । প্রেগনেন্সি টেস্ট করার উপায় হচ্ছে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কয়েক ফোটা প্রসাব প্রেগনেন্সি চেক করা কিটের মাঝখানে দিতে হবে এবং কিছুক্ষণের অপেক্ষা করার পর দেখতে হবে
একটি দাগ উঠলে মনে করবেন আপনি গর্ভবতী নন এবং দুটি দাগ উঠলে আপনি গর্ভবতী এবং তিনটি দাগ উঠলে আপনার শরীরে কিছু রোগ আছে থাকতে পারে মনে করা হয় ,টেস্ট করার পূর্বে অব্যশই গায়ে থাকা নির্দেশনা গুলো পড়ে নিবেন
পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ
নিয়মিত আপনার মাসিক হয় তবে যদি হঠাৎ করে মাসিক বন্ধ হয়ে যায় এটি একটি গর্ব অবস্থায় লক্ষণ হতে পারে এই অবস্থায় প্রথম কিছু সপ্তাহ আপনার মাসিকের মতোই কিছু রক্তক্ষরণ বা অল্প দাগ লাগা রক্ত বের হতে পারে একে বিজ্ঞানের ভাষায় ইমপ্লিমেন্টশন বিল্ডিং বলে যদিও প্রত্যেক নারীদের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা গর্ভধারণের লক্ষণ দেখা যায় তবে
মহিলারা মাসিক বন্ধ হওয়ার আগে কোন অনুভূতি অনুভব করতে পারেন তবে মাসিক বন্ধ হওয়া যে গর্ব অবস্থায় একমাত্র লক্ষণ তা কিন্তু নয় তবে এটা বুঝতে হবে প্রত্যেকটি মাসিক চক্রের গর্ভধারণের পরিবর্তন হতে পারে এবং কিছু ক্যালসিয়াম হরমোনের অভাব জন্য মেয়েদের বন্ধ হতে পারে মাসিক বন্ধ ,গর্ভাবস্থার লক্ষণ হল বমি ভাব হওয়া স্তনের পরিবর্তন খিদে কমে যাওয়া বারবার প্রসব যাওয়া ক্লান্তি ভাব কোষ্ঠকাঠিন্য বুক জ্বালা ইত্যাদি গর্ভবতী সময় অনুভব হয়
গর্ভবতী নারীর প্রাথমিক লক্ষণ গুলো জানুন
গর্ভবতী নারীর প্রাথমিক লক্ষণগুলো মাথা ব্যথা করা বুকেজ্বালা করা চরম ক্লান্তি বোধ হওয়া বমি বমি ভাব হওয়া ঘনঘন প্রসাব হওয়া ওজন বৃদ্ধি ও হ্রাস পাওয়া মেজাজ পরিবর্তন হওয়া। স্তন নরম ভুলে যাওয়া শরীর ভারী হওয়া শরীরে অসস্তিবোধ হাঁটাচলা অসুবিধা খাবারের অরুচি বারবার খিদে লাগা পেট ফাঁপা ও কষ্ট কাঠিন্য শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকা বেশি হওয়া স্থানে ব্যথা অনুভব রক্তচাপ হওয়া হৃদপিন্ডের দ্রুত হার ইত্যাদি
পিরিয়ডের আগে সাদা স্রাব গর্ভাবস্থার লক্ষণ
সাদা স্রাব নিউকোরিয়া নামে পরিচিত এটি জরায়ু এবং যৌনির দ্বারা উৎপাদিত একটি প্রাকৃতিক তরল। সাদাস্রাব মাসিক শুরু হওয়ার আগেই খুব স্বাভাবিকভাবেই হয় প্রায় দিনের দুই থেকে তিনবার হয়ে থাকে, প্রজনন সক্ষম হওয়া মহিলাদের ক্ষেত্রে ঘনঘন সাদাস্রাব এবং হলুদ ও আঠালো রঙের যৌনি পথ দিয়ে নির্গত হয়। এটি সাধারণত সাধারণের হয়ে থাকে
মাসিক শুরু হওয়ার আগে বিভিন্ন কারণে সাদাস্রাব হতে পারে ।এটি হরমোনের উঠানামা এবং সার্বিকেল উৎপাদন বাড়ায় মাসিকের জন্য শরীরকে প্রস্তুত করার কারণও হতে পারে, সাধারণ স্বাভাবিক হলেও খামির মতো কিছু কারণ সংক্রামন ব্যাধি হতে পার, এ সময় স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখুন শ্বাস নেওয়ার মতো পোশাক করুন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন দই খাবেন ডাফিং এড়িয়ে চলুন
পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
মাসিক বন্ধ হওয়ার আগে আপনার ক্ষেত্রে অনেকগুলো কারণ হতে পারে বা লক্ষণ দেখা দিতে পারে যার মধ্যে হচ্ছে মাথা ঘোরা, বারবার ওয়াশরুমে যাওয়া , গলা শুকিয়ে যাওয়া ,খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া ,খিদে বেড়ে যাওয়া মাথাব্যথা শরীর ভারী হওয়ার মর্নিং সিকনেস ইত্যাদি
কোমর ব্যথা কি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ
গর্ব অবস্থায় মেয়েদের শরীরে অসুস্থ অস্বস্তি অনুভব করে এ সময় তাদের হাঁটাচলা রাতে ঘুম আসে না ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয় গর্ভ অবস্থায় মেয়েদের ওজন অনেকটা বেড়ে যায় এবং শরীর ভারী হয় তাই এসি এবং সন্ধিরপুর অনেকটা চাপ পড়ে যার ফলে কোমরের সাথে সাইক্রোআইলিক গুলো আছে সেগুলো শিথিল হয় এবং বহন ক্ষমতা অনেকটা কমে যায় যার ফলে
কোমরের ব্যথা বাড়ে এবং গর্ভকালীন সময়ে চিন্তা দুশ্চিন্তার কারণে কোমর ব্যথার হতে পারে অতিরিক্ত পিঠের উপর চাপ এটিও কোমর ব্যাপার কারণ হতে পারে গর্ভাবস্থায় নারীদের প্রসব প্রস্তুত করার জন্য সাধারণত ভাবে লিগামেন্ট নরম এবং ঢিলে হয়ে যায় শরীরের বিভিন্ন অংশ এবং হাড় জয়েন্ট আর লিগামেন্ট একটি সাথে অপরটির সম্পৃক্ত থাকায় এই অংশগুলোর উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এর ফলে বড় অবস্থায় কোমর ব্যথা অনুভব হয়
দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
আমাদের দেশে অনেক মহিলারা মনে করেন যে বাচ্চা হওয়ার অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে তাই দ্বিতীয় বার বাচ্চা নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটা কষ্ট কম হবে আসলে ব্যাপারটা কিন্তু সে রকম নয়। বরং দ্বিতীয় বাচ্চার জন্ম দিতে গিয়ে একটু বেশি কষ্ট সহ্য করতে হয়। এবং আবার অনেক ক্ষেত্রেও দেখা যায় প্রথমবারের তুলনায় দ্বিতীয়বার সন্তান গর্ভধারণ অনেক সহজে হয়ে যায়
অনেক মহিলারা বলে থাকেন যে প্রথমবারে গা গোলানো এবং বমি ভাব থাকলে দিতে পারে তেমন কোন সমস্যা মধ্যে তারা যায়নি এবং প্রথমবারের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বারের গর্ভধারণ অনেক তাড়াতাড়ি হয়েছে এর প্রধান কারণ হলো তলপেট এবং ইউটেরাস মাসাল অনেকটা ঢিল হয়ে গেছে সে কারণে সহজে দ্বিতীয় গর্ভধারণ তাড়াতাড়ি দেখা যায় এবং দ্বিতীয়বার গর্ভ অবস্থায়
আপনার শরীর অনেক আগে থেকেই তৈরি থাকবে এবং সহজেই প্রেগন্যান্সির সাথে শরীরকে মানিয়ে নিতে পারবেন যেহেতু প্রথমবারে সন্তানের পেটের ভেতর নড়াচড়া অনুভব করতে পেরেছেন তাই দ্বিতীয়বারে আপনি আগে থেকেই সবকিছু অনুভব করতে পারবেন তবে দ্বিতীয়বারে লেবার যন্ত্রণা অনেকটা কম হবে এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার পর আপনাকে সুস্থ হতে বেশ সময় লাগবে এর কারণ হচ্ছে আপনার প্রথমবার ইউটেরাস বড় হওয়া এবং এর তুলনায় দ্বিতীয়বার একটু কষ্টকর হবে আপনার জন্য
লেখকের মন্তব্য
প্রিয় পাঠক রাজশাহী ব্লকে আপনাকে স্বাগতম আশা করছি আপনি যে বিষয় নিয়ে খোঁজাখুঁজি করেছিলেন এবং সমস্ত আলোচনা পড়ে আপনার কাঙ্খিত উত্তর পেয়েছেন আপনার যদি আর্টিকেল পছন্দ বা ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজন সবাইকে এ বিষয়ে জানিয়ে পড়ার আমন্ত্রণ জানাবেন এবং সেই সাথে ফলো এবং শেয়ার দিয়ে পাশে থাকবেন ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url