ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম ড্রাগন ফল দিয়ে রূপচর্চা

প্রিয় পাঠক ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না তো সমস্যা নাই আজকে আমরা এই আটিকেল মাধ্যমে আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিব এবং সেই সাথে ড্রাগন ফল দিয়ে রূপচর্চা বিষয়ে সম্পূর্ণ বিস্তারিত মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন



ড্রাগন ফল এখন আমাদের দেশে চাষ হচ্ছে ,যার ফলে এর দেখা মিলছে ,প্রায় সব জায়গাতেই , ড্রাগন ফল সাধারণত দুই ধরনের হয় ,দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি খেতেও অনেক সুন্দর চমৎকার, ড্রাগন ফল পুষ্টিগণের দিক থেকেও অনেক ভালোআমাদের দেশে গ্রীষ্ম এবং শীত উভয় সময়ে সাম্প্রতিক ড্রাগন ফল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে 

এখানে আমরা ড্রাগন ফলের আরো অনেক কিছু বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি যা নিচে দেওয়া আছে

ভূমিকা 

প্রায় সারা বছরই এ ফল পাওয়া যায় আমাদের দেশে আগে এ ফলের তেমন পরিচিতি ছিল না এটি মূলত থাইল্যান্ড দেশ থেকে আগত বর্তমানে ড্রাগন ফল আমাদের দেশে এখন সব জায়গায় চাষ হচ্ছে যার ফলে সবসময় দেশের মানুষ ড্রাগন ফল খাওয়ার স্বাদ অনুভব করতে পারছে বা খেতে পারছে আগে এ ফলটি আমাদের দেশে তেমন একটি প্রচলন বা দেখা যেত না 
এটি দেখতে ভিন্ন রকম হওয়ায় চাহিদা অন্যফলের তুলনায় একটু বেশি। ড্রাগন ফল নাম যেমন একটু অদ্ভুত টাইপের তেমনি ফল দেখতে আলাদা ড্রাগন ফল শিশুদের খাওয়ার জন্য বেশ আকর্ষণ করে ড্রাগন ফল শুধু স্বাদে নয়  এতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন ভিটামিন ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতেও সক্ষম।

 ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা  

ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে এবং ভিটামিন সি ,ইমিউন বোস্টিং করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ,হার্টের স্বাস্থ্য ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের কোলেস্টেরল ঠিক রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

দেশের মানুষ সব সময় খেতে পারছে ফল দেখতে একটু ভিন্ন ধরনের এজন্য মানুষের কাছে এটি খাওয়ার জন্য আলাদা একটা আবেগ তৈরি হয় ড্রাগন ফল শুধু স্বাদে নয় গুণে অনেক উপকারিতা তবে ড্রাগন ফল

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম 

 প্রথমে একটি চামচ দিয়ে মাংস বের করে নিন ফল পাকা হলে মাংস সহজে আলাদা হয়ে যাবে। এবার ড্রাগন ফল খাবেন এটিকে সরাসরি তোলার পর মুখে ভরে খাবেন এটি খেতে অনেক দারুন লাগবে এবং ড্রাগন ফলকে আপেলের মতো চার ভাগ কেটেও খেতে পারবেন ফলে এর ফলের স্বাদ অনেকটা ঠান্ডা হয় ড্রাগন ফল ফ্রিজে রেখে কিছুক্ষণ পর কেটে খেলে অনেকটা স্বাদ পাবেন ড্রাগন ফলের উপরের খোসা বা চামড়া খাবেন না

খালি পেটে ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম 

ড্রাগন ফল খালি পেটে খেলে বিভিন্ন রোগ ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে যেমন ক্যান্সার ডায়াবেটিস এর অ্যালজাইমার এবং পারকিনসন এটি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে এবং রক্তের ভারসাম্যতা বজায় রাখে

ড্রাগন ফল দিয়ে রূপচর্চা 

ড্রাগন ফল ত্বকের আদ্রতা যোগ করে এবং ত্বককে নরম এবং নমনীয় করে তোলে ,ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি জিংক থাকায় ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। এবং ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকায় মেলা নিন সংশ্লেষণএবং  থাকায় ত্বকের লালচে এবং কালো দাগ দ্রুত কমাতে অনেকটা সাহায্য করে।

ড্রাগন ফল আমাদের ত্বকে নতুনভাবে নিস্তেজ করে ত্বকে প্রাণ ফেরায় এবং ত্বকে পুনরায় জীবিত করে তোলে এবং ড্রাগন ফল আমাদের ত্বকের ব্রণ কমাতে সাহায্য করে দীর্ঘদিন ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে অনেক টা কার্যকরী

ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক 

ড্রাগন ফলের অপকারের দিক থেকে উপকারের গুণ অনেক বেশি উপকারিতা নেই বললেই চলে তবে ড্রাগন ফল অধিক খাওয়ার ফলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে এবং ড্রাগন ফলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া জন্য ডায়রিয়া হতে পারে ড্রাগন ফল কেনার আগে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে কিনে নিবেন কারণ

বাজারে এখন ড্রাগন ফল নামের আরো অনেক বিষাক্ত ফল বের হচ্ছে অনেক অসাধু ব্যবসায়ীর কাছে যারা টাকার জন্য ড্রাগন ফলের মতো দেখতে বিষাক্ত ফল বাজারে বিক্রি করছে তাই যখনি ফল কিনবেন অবশ্যই দেখে শুনে কিনবেন

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ 

ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম ও খনিত উপাদান থাকে যা আমাদের দেহের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় ড্রাগন ফল কোষ্ঠকাঠিন্য পতিয়াক হিসেবেও কাজ করে এবং আমাদের দেহের ফ্যাটি এসিড ও কোষ্ঠকাঠিন্য লেকসিটিভ রোগের সহায়তা করে এবং দেহের মানসিক অবস্থা দূর করতে

সাহায্য করে,ড্রাগন ফলে তিনটি গাজরের চেয়ে এবং একটি কমলার চেয়ে বেশি ভিটামিন থাক,ড্রাগন ফলে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়েট করার খাদ্য  তালিকায় যোগ করে রাখা হয়  সবসময় 

ড্রাগন ফল কত টাকা কেজি  

ড্রাগন ফল বাজারে অনেক কোয়ালিটির এবং বিভিন্ন সাইজের ফল কিনতে পাওয়া যায় ড্রাগন ফল কোয়ালিটি এবং সাইজের উপর নির্ভর করে দাম নির্ধারণ করা হয় আপনি যদি দেশের থেকে ভালো কোয়ালিটির ড্রাগন ফল কিনতে চান ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি এবং একটু এবং আপনি যদি একটু

 কম কোয়ালিটি ফল কিনতে চান তাহলে আপনার 400 থেকে 500 টাকা কেজি পড়বে এবং সবার ছোট কোয়ালিটি ড্রাগন ফল 300 থেকে ৩৫০ টাকা কেজি মূলত ড্রাগন ফল মানের উপর নির্ভর করে দাম নির্ধারণ করা হয় ফলের মান ভালো হলে নামও ভালো

লেখকের মন্তব্য 

প্রিয় পাঠক রাজশাহী ব্লগ আপনাকে স্বাগতম  আশা করছি আপনি যে বিষয় নিয়ে খোঁজাখুঁজি করছিলেন এই সমস্ত আলোচনা পড়ে আপনি আপনার কাঙ্খিত উত্তর পেয়ে গেছেন। আপনার যদি আর্টিকেল পছন্দ বা ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজন সবাইকে এ বিষয়ে জানিয়ে পড়ার আমন্ত্রণ জানাবেন এবং সেই সাথে রাজশাহী ব্লকে ফলো এবং শেয়ার দিয়ে পাশে থাকবেন ধন্যবাদ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪